শেষবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যোগ দিয়েছিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী (Lal Bahadur Shastri)। সেটা ১৯৬৪ সাল। তারপর গত সাড়ে পাঁচ দশকের মধ্যে আর কোনও প্রধানমন্ত্রী এএমইউয়ের কোনও অনুষ্ঠানে যোগ দেননি। সেই দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে দাবি করেছেন, ”ভারতে ধর্মের কোনো বিভেদ নেই। ধর্মের নামে এদেশে কোনো সুযোগ-সুবিধা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা হবে না। সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস-এই স্লোগানে এগিয়ে চলেছে দেশ।”
আরও পড়ুন: ঢুকে পড়ছে মাফিয়ারা, গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্র BJP-র ‘যোগদান মেলা’
প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেছেন, ”ধর্ম সমাজের একটি অংশ। তবে একমাত্র দিক নয়। এই দেশের উন্নতিতে কিছু অশুভ শক্তি বাধা দিচ্ছে। কিন্তু বরাবরই আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় আধুনিক মুসলিম সমাজ গঠনের কাজ করেছে। আমাদের সরকার তিন তালাক প্রথা বাতিল করে সেই আধুনিক মুসলিম সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এদিন প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার এখন মুসলিম মহিলাদের শিক্ষায় বিশেষ নজর দিয়েছে। 2014 থেকে 2020 পর্যন্ত প্রায় এক কোটি মুসলিম মহিলাকে বৃত্তি দিয়েছে সরকার।”
মোদির দাবি, “মুসলিম মহিলাদের শিক্ষার জন্য বিশেষ নজর দিচ্ছে সরকার। গত ৬ বছরে ১ কোটি মুসলিম মহিলাকে বৃত্তি দেওয়া হয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী বলছেন, “স্বচ্ছ ভারত যোজনার আওতায় সব স্কুল-কলেজে নতুন টয়লেট তৈরি হওয়ায় মুসলিম মেয়েদের মধ্যে স্কুলছুটের সংখ্যা কমেছে।”
প্রধানমন্ত্রী ভাষণে এদিন উঠে আসে তিন তালাক প্রথার কথাও। তাঁর দাবি, ১০০ বছর আগে এএমইউয়ের (Aligarh Muslim University) হাত ধরে যে আধুনিক মুসলিম সমাজ গঠনের কাজ শুরু হয়েছিল, তিন তালাক প্রথা বাতিল করে এই সরকার সেই সংকল্পকেই এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে।”
এদিনের বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী আগাগোড়ায় মুসলিমদের প্রতি নিজের একাত্মতা জাহির করার চেষ্টা করলেন। সেই সঙ্গে তাঁর সরকার যে সত্যিই ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশে’র মাধ্যমে ‘সবকা বিশ্বাস’ অর্জন করতে চায়, সেটাও বোঝাতে চাইলেন প্রধানমন্ত্রী। সতর্ক করে বললেন, নতুন ভারতের উন্নতিতে কিছু শক্তি বাধা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। বললেন, ধর্ম সমাজের একটা অংশ, কিন্তু একমাত্র অংশ নয়। রাজনীতি অপেক্ষা করতে পারে, কিন্তু উন্নয়ন নয়।
আরও পড়ুন: বিজেপি ডবল ডিজিট ছাড়ালে টুইটার ছাড়ব, বাংলার ভোট নিয়ে বড় দাও খেললেন PK