কেরালায় ভয়াবহ ধসে মৃত বেড়ে ৪২, বাড়ছে মৃত্যু-মিছিল

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কেরালায় ধসে মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। ইতিমধ্যে রবিবার ১৬ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২। তবে আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সেই সংখ্যাটা আরও বাড়তে থাকে। কারণ এখনও ৩০ জনের মতো মানুষের খোঁজ মিলছে না।

কেরালার ইডুক্কি জেলার রাজাক্কড়ের একাংশ ধস নামে। জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় চা বাগানের শ্রমিকরা থাকতেন। ফলে ধসে প্রথমে প্রায় ৮০ জনের মতো আটকে রয়েছএন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। এলাকায় প্রায় সব রাস্তাই বন্ধ। ফলে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ।

মৃতদের খোঁজে স্নিপার ডগ নিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে উদ্ধারকারী দল। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ইদ্দুকি উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে কমপক্ষে ছ’টি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল (এনডিআরএফ)। ওই এলাকায় কমপক্ষে ৭৮ জন থাকতেন। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশ চা শ্রমিকই পার্শ্ববর্তী রাজ্যে তামিলনাড়ুর বাসিন্দা।

আরও পড়ুন : ‘আত্মনির্ভরতা’র পথে আরও এক ধাপ! ১০১ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা চাপল কেন্দ্র

ইদ্দুকি জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে হস্টেল থেকে এলাকায় অনেক পড়ুয়া ফিরে এসেছেন। তার জেরে নিখোঁজ ব্যক্তির সংখ্যা বাড়তে পারে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন বিরোধী নেতা রমেশ চেন্নিথালা এবং বিদেশ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ভি মুরলীধরন। যিনি আদতে কেরালার বাসিন্দা।

শুক্রবার এই ঘটনার পর ট্যুইটারে দুঃখপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। মৃতদের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারই বিজয়ন।

এ দিকে, অতিবৃষ্টির জেরে ইদুক্কি জেলায় পরিস্থিতি ক্রমেই ঘোরাল হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে টানা বর্ষণের জেরে একাধিক নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। জল বেড়ে যাওয়ায় ইদুক্কি বাঁধের তিনটি লকগেট খুলে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন : ফের কোভিড ওয়ার্ডে আগুন, ঝলসে মৃত্যু ১১ করোনা রোগীর, শোকপ্রকাশ মোদীর

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest