২১ জুলাই ভার্চুয়াল ভাষণে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, ‘ভুল করে যদি কেউ বিজেপিতে গিয়ে থাকেন, তাহলে তৃণমূলে ফিরে আসুন। কেউ যদি কংগ্রেস বা সিপিএমে গিয়ে থাকেন, তাঁরাও ফিরে আসুন। মানুষের জন্যে যদি কাজ করতে চান, তাহলে তৃণমূলেই একমাত্র সেই সুযোগ পাবেন।’
তবে তৃণমূল নেত্রীর সেই ডাকের আগে থেকেই অবশ্য বিজেপি-সহ অন্যান্য দলে ভাঙন বাড়ছিল। সম্প্রতি আসানসোলের বিশিষ্ট সমাজকর্মী চন্দ্রশেখর কুণ্ডুও যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে সাড়ে চারশোর বেশি বিজেপি কর্মী যোগ দিলেন রাজ্যের শাসকদলে।
আরও পড়ুন : করোনার বিরুদ্ধে ‘ভাবিজি পাঁপড়’-এর ‘টোটকা’ দেওয়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কোভিড পজিটিভ
রবিবার সকালে ক্যানিং বাসস্ট্যান্ডে একটি ছোট পথসভার আয়োজন করে শাসক দল। উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য তপন সাহা, সুশীল সরদার। সেখানেই ক্যানিং ১ নম্বর ব্লকের গোপালপুর, নিকারিঘাটা, মাতলা ১, তালদি এবং বাঁশড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বহু বিজেপি কর্মী যোগ দেন তৃণমূলে।
বিজেপির দলত্যাগী ওই কর্মীদের বক্তব্য, বাংলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করছে বিজেপি। মানুষের জন্যে কাজ করতে আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নযজ্ঞে সামিল হতেই এই দলত্যাগ বলে দাবি করেছেন তাঁরা। তৃণমূলের দাবি, জেলার আরও কয়েক হাজার বিজেপি কর্মী তৃণমূলে আসার অপেক্ষায় রয়েছেন। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সোনারপুরেরও বহু বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন।
হাতে সেই অর্থে আর বেশি সময় নেই। লোকসভার সেই জোশ বিজেপির মধ্যে দেখা যাচ্ছে না। বরং তাদের দলীয় কোন্দলের খবর দিন দিন প্রকট হয়ে উঠছে। প্রকাশ্যে মিডিয়ায় চলে আসছে অন্দরের কাদা ছোড়াছুড়ির খবর। দিলীপের একাধিপত্য বিজেপির অন্য নেতারা সেইভাবে মেনে নিচ্ছেন না বলে খবর। তাদের অনেকের অভিযোগ দিলীপ কাজের লোকেদের কাজ করতে দিচ্ছেন না। সমীক ভট্টাচার্যের মত নেতারা বহু আগেই চলে গিয়েছেন আড়ালে। রুপার খবরও আজকাল পাওয়া যায় না। তুলনায় কদিনের অগ্নিমিত্রার খবর অনেক বেশি। এসবের পিছনে অনেকে ভিতরের লবিবাজির কথা বলেছেন। যদিও দিলীপ ঘোষ আগাগোড়াই তা উড়িয়ে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন : আর মাত্র ২ দিনের অপেক্ষা! বুধবার বিশ্বের প্রথম করোনা টিকা আনতে চলেছে রাশিয়া