১৯৪৭-এর পর এই প্রথম দেশের জিডিপি এত তলানিতে ঠেকেছে বলেও মন্তব্য করেন ইনফোসিস কর্তা এনআর নারায়ণমূর্তি।। দেশের অর্থব্যবস্থা সঠিক দিশায় নিয়ে আসা উচিত বলেও ওই দিন জানান তিনি। । নারায়ণমূর্তির সেই আশঙ্কার প্রসঙ্গ টেনেই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন রাহুল।
জিডিপি নিয়ে মোদীকে কটাক্ষ করে রাহুল গাঁধী বললেন, “মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায় (মোদী থাকলে সব কিছুই হওয়া সম্ভব)।”করোনাভাইরাস, লকডাউন, পরিযায়ী শ্রমিক-সহ একাধিক বিষয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বার বার সরব হয়েছেন রাহুল।
আরও পড়ুন : এখনও সঙ্কটজনক প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি, ঈশ্বরের কাছে দুঃখ সহ্য করার শক্তি চাইছেন প্রণব কন্যা
দেশে করোনার সংক্রমণ যে দিন ২০ লক্ষ পেরোল, সে দিনও মোদী সরকারকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ’২০ লক্ষ ছাড়াল সংক্রমণ, মোদী সরকার কোথায়!’ দেশের অর্থব্যবস্থাকে সামাল দেওয়ার মতো ক্ষমতা মোদী সরকারের নেই বলেও কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। রাহুল বলেন, “দেশের অর্থব্যবস্থা সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই মোদী ও তাঁর দলের।” এ বার সেই অর্থব্যবস্থার প্রসঙ্গ তুলেই ফের মোদীকে কাঠগড়ায় তুললেন রাহুল।
রাজনীতির করছে যারা করেন, তাঁদের বক্তব্য রাহুলের বক্তব্য সত্যি হলেও সময়টা মোদির। তিনি করোনাকালে হাসপাতালের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন না করে রাম মন্দিরের করতেই পারেন। মন্দির প্রতিষ্ঠার এই দিনটিকে স্বাধীনতা দিবসের সঙ্গে তুলনা করতেই পারেন। দেশের বেশির ভাগ মানুষের আবেগ ধরতে পারেন তিনি।
আরএসএস হিন্দুত্বকে দেশের মানুষের আবেগ বলে চালিয়ে দেবার দক্ষতা মোদির রয়েছে। মনুবাদিতাকে কিভাবে জাতীয়তাবাদের সঙ্গে ব্লেন্ড করতে হয় তা তার জানা। স্ক্রিপ্ট হয়ত অনেকে মাইল লেখেন। কিন্তু ফরফর্ম তো তিনি একাই করেন। সংসদে মাথা নিচু করে ঢুকেছিলেন তিনি। মন্দিরের ভিত্তিতে প্রস্তরের দিন তা করেননি। সাষ্টাঙ্গে হয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন এর গুরুত্ব তার কাছে আরও বেশি। তিনি তাঁর বাকপুটুটা দিয়ে, ইঙ্গিতে বিভাজন করে, সংখাগরিষ্ঠকে কাছে পেতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন।
রাহুলের পার্টি সময় পেলেই মোদির জনপ্রিয়তার ইস্যুগুলিকে ধরতে চাইছে। তাতেই তারা পরে যাচ্ছে ফাঁদে। কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে অতি স্বল্প হলেও বহিরঙ্গে কিছু ফারাক রয়েছে। বিজেপি যা নিয়ে বুক বাজাতে পারে, কংগ্রেস তা পারে না। এখন কংগ্রেসের সব থেকে জরুরী এই উপলব্ধিটা।
আরও পড়ুন : ইতিহাসে প্রথম! মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস