#নয়াদিল্লি: রাজ্যসভায় ভোটাভুটি পর্ব শেষে পাস হয়ে গেল তিন তালাক বিল । এই বিল পাস হওয়ার ফলে এবার ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে তাৎক্ষণিক তিন তালাক । রাজ্যসভায় পাশ হওয়ার পর তিন তালাক বিলটি পাঠানো হবে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে। তিনি তাতে সই করলেই সেটি আইনে পরিণত হবে। যার পর তাৎক্ষণিক তিন তালাক প্রথা ফৌজদারি অপরাধ বলে গণ্য হবে। সে ক্ষেত্রে স্ত্রীকে তিন তালাক দিলে তিন বছরের কারাবাস হবে মুসলিম পুরুষদের।আজ রাজ্যসভায় এই বিলের পক্ষে ৯৯ ভোট ও বিপক্ষে ৮৪টি ভোট পড়েছে ।
তাৎক্ষণিক তিন তালাক প্রক্রিয়াকে অপরাধ ঘোষণা করার দাবিতে তিন তালাক বিলের প্রস্তাব এনেছিল বিজেপি সরকার । ২০১৭ সালেই তাৎক্ষণিক তিন তালাককে অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট । লোকসভাতে আগেই পাশ হয়েছিল তিন তালাক বিল। কিন্তু রাজ্যসভায় আটকে যাচ্ছিল শাসক দল। সংসদের উচ্চকক্ষে সংখ্যালঘু বিজেপি। কিন্তু কৌশলেই বিরোধী ঐক্যে ভাঙন ধরাল সরকারপক্ষ।
তিন তালাক বিলকে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর দাবি করে বিরোধীরা। কিন্তু ভোটাভুটিতে খারিজ হয়ে যায় তাদের প্রস্তাব। ১০০জন সাংসদ প্রস্তাবের বিরোধিতায় ভোট দেন। পক্ষে ভোট পড়ে ৮৪ জনের। তখনই রাজ্যসভায় বিজেপির জয় কার্যত নিশ্চিত হয়ে যায়।
২৪১ সদস্যের রাজ্যসভায় কোনও বিল পাশ করাতে ১২১ সাংসদের সমর্থনের প্রয়োজন হয়। সেখানে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের সদস্য সংখ্যা ১১৩। এর আগে বিলের বিরোধিতায় রাজ্যসভা থেকে ওয়াকআউট করে এআইডিএমকে ও জেডিইউ। দুই দলই বিজেপির শরিক। শরিকদ্বয় ভোটদানে বিরত থাকায় লাভবান হয় সরকারপক্ষ। ম্যাজিক ফিগার এসে দাঁড়ায় ১০৯-তে। এরপর ওয়াকআউট করে টিআরএস। রাজ্যসভায় গরহাজির ছিলেন এনসিপি-র শরদ পাওয়ার ও প্রফুল পটেল। এমন পরিস্থিতিতে বিজু জনতা দল, এনডিএ-র শরিক না হওয়া সত্ত্বেও বিলটির সপক্ষে মত দেয়। ফলে কৌশলেই বিরোধী শিবিরে ভাঙন ধরিয়েছে বিজেপি। তাতেই বিলটি পাশ হয়ে যায়।