Recognition of being by the side of people, the name of Bengali doctor Farooq is in the India Book of Records

মানুষের পাশে থাকার স্বীকৃতি, বাংলার চিকিৎসক ফারুকের নাম ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

মানুষের পরিচয় তাঁর ডিগ্রিতে নয়।ধর্ম, জাত, উচ্চবংশ কিংবা আভিজাত্য, কোনওকিছতেই সে পূর্ণতা পায় না। যতক্ষণ না একজন মানুষ আর একজনের জন্য ভাববে, তার দুঃখ, যন্ত্রনা কিংবা অসহায়তায় সামিল হবে, ততক্ষন  যে পরিচয়ই সে বহন করুক না কেন, তা খাঁটি নয়। ড: ফারুক হোসেন গাজী পেরেছেন।তিনি মানুষের জন্য নিরলস কাজ করেছেন। করছেন। পাশে থাকছেন। নিষ্ঠাভরে। দায়িত্ব নিয়ে।ফারুক পেশায় চিকিৎসক।
নেশায় সমাজকর্মী। এই পেশার কাছে মানুষের প্রত্যাশা বড় বেশি। তবে অভিজ্ঞতা তত মধুর নয়। তাই তো ফারুক ব্যাতিক্রমী। ভিন্নধর্মী।সে কারণেই তো তিনি পেলেন মানুষের পাশে থাকার স্বীকৃতি। তাঁর নাম উঠলো ইন্ডিয়া বুক রেকর্ডসে।

আরও পড়ুন: আজ এপিজে আব্দুল কালামের মৃত্যুদিন, দেখে নিন তাঁর অমিয় বাণীগুলি

উত্তর চব্বিশ পরগনার খাস শাঁখদহ। এক প্রত্যন্ত গ্রাম। সেখানে ডাঃ ফারুক হোসেন গাজীর জন্ম ।বেড়ে ওঠা। গরিব ঘরে জন্ম, গ্রামের স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ, আল আমীন মিশন থেকে পড়াশুনা করে ভালো মার্কস নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ। তারপর বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে এম বি বি এস পাশ করেন ২০১২ সালে। অনেকেই যখন ঘাড় গুঁজে ক্যারিয়ার বানায়,ফারুক তখন গড়ে তোলেন সমাজ সেবী প্রতিষ্ঠান “নব দিগন্ত” । যে প্রতিষ্ঠানের নাম আজ বাংলার বহু মানুষ জানেন । শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে, কর্ম সংস্থান তৈরিতে, নারীর উত্তরনে প্রতিষ্ঠানটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলেছে ।

আজ প্রায় ৯ বছর বিনামূল্যে রোগী দেখছেন তিন। বিনা অর্থে রোগীদের সরবরাহ করেছেন ওষুধ। দাঁড়িয়েছেন বহু পড়ুয়ার পাশে।পড়াশুনার জন্যে স্কলারশিপ দিচ্ছেন। গ্রামের মহিলাদের স্যানিটারি ন্যাপকিন দেন। প্রতি মাসে সঙ্গে সচেতনতার পাঠ, নারীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। গ্রামের স্কুল, কলেজ পড়ুয়া প্রায় ১৫০ মেয়েকে নিয়ে “স্বাস্থ্যব্রতী স্বাস্থ্যসেবিকা” টিম গড়ে তুলেছে। তাদের ট্রেনিং দিয়েছেন, আজ তারা গ্রামের মানুষের বিনামূল্যে প্রেসার, সুগার, তাপমাত্রা মেপে দিচ্ছে, স্বাস্থ্য ক্যাম্পে সাহায্য করছে তারা, এমন কি তারা ইসিজিও করতে পারে।তিনি গড়ে তুলেছেন “নব দিগন্ত মিশন স্কুল” যেখানে অনাথ, স্কুল ড্রপ আউট, আদিবাসী শিশুরা পড়াশুনা করে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে, যাদের বই, টিউশন ফি, ব্যাগ, ড্রেস সব ব্যবস্থা করেন তিনি মানুষের কাছে হাত পেতে। এই কাজে পাশে পেয়েছেন ছায়াসঙ্গী হিসাবে নিজের স্ত্রী নিলুফা পারভীনকে।

কাজের স্বীকৃতি হিসাবে কোলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও পি বি সেলিম এর হাতে থেকে পেয়েছেন “আল আমীন অনন্য অ্যাওয়ার্ড”। পেয়েছেন “হিউম্যান ওয়েলফেয়ার অ্যাওয়ার্ড”। এছাড়াও পেয়েছেন বিভিন্ন পুরস্কার ও সংশাপত্র পেয়েছেন বিভিন্ন সংস্থা সহ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর থেকেও কোভিড, আমফান, ইয়াস, বন্যার ত্রাণের ভালো কাজের জন্যে, কোভিড, ডেঙ্গু নিয়ে সচেতনতা সহ বহু ভালো কাজের জন্যে, বহু অসহায় মেয়ের বিয়েতে তার সংস্থা নব দিগন্ত পাশে দাঁড়িয়েছে। এবারে তার মুকুটে যোগ হল “ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড”।

ডাঃ ফারুক এর সংস্থা নব দিগন্ত আজ পশ্চিমবঙ্গ এর ২৩ টি জেলাতে কাজ করছে, প্রতিটি জেলাতে প্রতিনিধি এর পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে প্রায় ১০,০০০ এর বেশি সদস্য । ডাঃ ফারুক বলেন “এই পুরস্কার সমাজের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য আরো বাড়িয়ে দিলো, সারাজীবন মানুষের সেবা করে যাবো, নব দিগন্ত শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য বিতরণ , বস্ত্র বিতরণ, রক্ত দান শিবির, স্কলারশিপ বিতরণ, ত্রাণ বিতরণ, বৃক্ষরোপন, অসহায় মেয়ের বিয়েতে সাহায্য, বাসস্থান নির্মাণসহ সচেতনতার প্রসার ও নারীর উত্তরনে সব সময় কাজ করে চলেছে ও চলবে ”

আরও পড়ুন: Kahlil gibran: দেখে নিন খলিল জিবরানের এর বিখ্যাত উক্তি ও বাণী, যা বদলে দিতে পারে আপনার চেতনা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest