Ayodhya Ram Mandir: Ramlala will bath with honey of Sunderban in Ayodhya

Ayodhya Ram Mandir: রামলালার স্নানের জন্য পৌঁছল সুন্দরবনের ১০১ কেজি মধু!

আগামী সোমবার রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা। রামলালাকে স্নান করাতে বিভিন্ন নদী, সাগর, হ্রদের জলের সঙ্গে লাগবে ঘি, মধু ও ডাবের জল। সুন্দরবনের মধু পৌঁছল অযোধ্যায়।

অযোধ্যাজুড়ে এখন সাজ সাজ রব। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। দেশ, বিদেশ থেকে আসছে রামলালার জন্য সামগ্রী। সেজন্য গড়ে তোলা হয়েছে বিশেষ ভান্ডারও। রামের প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনে ব্যবহার করা হবে ওই সব বিশেষ সামগ্রী। এবার এ ব্যাপারে বিশেষ উদ্যোগ নিতে দেখা গেল মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষকে।

আসলে  কোন রাজ্য থেকে কী আসবে আগে থেকে পরিষদই ঠিক করে নিয়েছিল। বাংলার ভাগে পড়ে মধু। সুন্দরবনের জঙ্গল থেকে যে মধু পাওয়া যায়, তা-ই দেশের শ্রেষ্ঠ। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। শচীন্দ্রনাথ বললেন, ‘‘কোন রাজ্য থেকে কী আসবে সেটা ঠিক করার পরে কে সেটা ভাল পারবেন বুঝে দায়িত্ব দেওয়া হয়। রামজন্মভূমি আন্দোলনেও দিলীপ ঘোষ যুক্ত ছিলেন। তাঁকেই বাংলার মধুর দায়িত্ব দেওয়া হয়।’’ বিহারের ঘি, কর্নাটকের চন্দন, কেরলের ডাব— সব এসে গিয়েছে অযোধ্যায়।

একটা সময়ে দিলীপ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রচারক হিসাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার দায়িত্বে ছিলেন। সেই হিসাবে বিজেপির আদি নেতাদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ এখনও খুব বেশি। দিলীপ বলেন, ‘‘ওখানকার কার্যকর্তাদের ছ’মাস সময় লেগেছে এই মধু সংগ্রহ করতে। তার পরে সব একত্র করে পাঠানো হয়েছে অযোধ্যায়। আমরা এখন অযোধ্যায় যাচ্ছি না বটে, তবে আমাদের নৈবেদ্য পৌঁছে গিয়েছে।’’

বিজেপি সাংসদ জানিয়েছেন, গত বছরের জুন-জুলাইয়ে তিনি সুন্দরবনের পাথরপ্রতিমা অঞ্চলের বাসিন্দা, রামের সাধক হরিপদ মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। হরিপদ এবং তাঁর ছেলে গোকুল এলাকার আরও কিছু মানুষকে নিয়ে গত ৬ মাস ধরে মৌমাছির চাক থেকে প্রভু রামের জন্য এই বিশেষ মধু সংগ্রহ করেন।