#কলকাতা: লোকসভা ভোটের প্রচার চলাকালীন বিতর্কিত মন্তব্য করে নির্বাচন কমিশনের কোপে পড়েছিলেন বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসু। এখন সে সবের বালাই নেই। মঙ্গলবার হাবড়ার গোয়ালবাটিতে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর হুঁশিয়ারি রীতিমতো মাত্রা ছাড়াল।এ দিন সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, “চোখ দেখালে চোখ গেলে নেওয়ার ক্ষমতা আছে”।
সায়ন্তন বসুর এমন বির্তকিত মন্তব্য এই প্রথম নয়। লোকসভা ভোটের প্রচারের শুরুতেই তিনি দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “বেচাল করলে চাল ঠান্ডা করে দেব। কত ঔরঙ্গজেবকে ঠিক করেছি, একটা দু’টো শাহজাহান ঠিক করতে পারব না”! আরও বেপরোয়া হয়ে কর্মীদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, “নির্বাচনের দিন বুথ দখল করতে এলে, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বলেছি, গুলি যেন বুক লক্ষ্য করে যায়, পায়ে মারা না হয়। এই লড়াই গণতন্ত্র বাঁচানোর। মার খেয়ে প্যানপ্যান করবেন না। মার খেয়ে পাল্টা মার দিয়ে ফোন করবেন। অত্যাচার করলে ছাড়বেন না। যারা মারতে আসবে তাদের মেরে মরবেন”। আবার মহিলাদের উদ্দেশে বঁটি ধার দিয়ে রাখার বার্তাও দেন।
শিক্ষকদের অনশন নিয়ে একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, যতটা সামর্থ্য ততটা করব। কেন্দ্রের হারে বেতন চাইলে কেন্দ্রে কাজ করুন। এ বিষয়ে সায়ন্তনের কটাক্ষ, “মুখ্যমন্ত্রীর শিক্ষার অভাব আছে।” ইভিএম-এর বদলে ব্যালটের যে ডাক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছিলেন তা নিয়েও কটাক্ষের সুর সায়ন্তের গলায়। তিনি বলেন, “ব্যালট হলে ছাপ্পা ভোট দিতে সুবিধা হবে। যেটা ইভিএম-এ করা সম্ভব নয়।” পাশাপাশি, মমতাকে সায়ন্তন বলেন, উনি হলেন শালগ্রাম শিলা।