মেক্যানিক্যাল সাপোর্টে বুদ্ধদেব, অবস্থা সঙ্কটজনক, হাসপাতালে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

দুপুরে আচমকা হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। চিকিতসকরা জানিয়েছিলেন, তাঁর করোনা হয়নি। ওষুধে সাড়াও দিচ্ছেন, বাইপ্যাপে স্থিতিশীল আছেন। কিন্তু  সন্ধে গড়াতেই সঙ্কট বাড়ল তাঁর। হাসপাতাল সূত্রের খবর, তাঁর দেহে আচমকাই বেড়ে গিয়েছে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা। মেকানিক্যাল ভেন্টিলেশনে দিতে হয়েছে তাঁকে। স্বাভাবিকভাবে তিনি অক্সিজেন নিতে পারছেন না।

দীর্ঘদিন ধরেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সেই সমস্যা আরও বাড়ে। তার পর চিকিৎসকদের পরামর্শমতো দুপুর দু’টো নাগাদ দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন সিপিএম নেতা।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, বুদ্ধদেব স্থিতিশীল রয়েছেন। তাঁকে মেক্যানিক্যাল সাপোর্টে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি যাবতীয় শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। হাসপাতালের পক্ষ থেকে মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ‘সংজ্ঞাহীন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। তখন তাঁর রক্তে অক্সিজেন সংবহনের মাত্রা ছিল ৭০ শতাংশ। তাঁকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। নিউমোনিয়া রয়েছে। তবে আরটিপিসিআর বা র‌্যাপিড টেস্টে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ। বর্তমানে তাঁর রক্তে অক্সিজেন সংবহনের মাত্রা ৯৫ শতাংশ। রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দন স্থিতিশীল। অবস্থা গুরুতর হলেও তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন।

আরও পড়ুন: মোবাইল ক্যামেরা দিয়েই দ্রুত হতে পারে করোনা পরীক্ষা ! দাবি মার্কিন বিজ্ঞানীদের

হাসপাতালে গিয়ে তাঁকে দেখে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “উনি খুব কষ্ট পাচ্ছেন, আমরা দেখলাম। কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ শরীরে বেশি। উনি দ্রুত সেরে উঠুন।” খানিক আগে ফিরহাদ হাকিমও বুদ্ধবাবুর সঙ্গে দেখা করতে যান হাসপাতালে। যান বিমান বসু, সুজন চক্রবর্তী, সূর্যকান্ত মিশ্রও। সূর্যকান্ত মিশ্র জানান, অচেতন অবস্থায় রয়েছেন বুদ্ধবাবু, অবস্থা খুব একটা ভাল নয়।

হাসপাতাল সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে বুদ্ধবাবুর জন্য। সে বোর্ড আরও বড় করা হবে। এখনও পর্যন্ত তাঁর হার্টবিট এবং প্রেশার স্বাভাবিক আছে কোনও যন্ত্রের সাপোর্ট ছাড়াই। বাকি সবরকম পরীক্ষা করে দেখছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানিয়েছেন, অবস্থা স্থিতিশীল হলে ফুসফুসের সিটি স্ক্যানও করা হবে।

চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, বুদ্ধবাবু ‘ল্যাকুনা ইনফ্র্যাক্ট’ অসুখে আক্রান্ত। এটি একটি বিশেষ ধরনের স্ট্রোক। এই স্ট্রোকে রক্তক্ষরণ হয় না। এক্ষেত্রে রক্ত কমে যাওয়ায় মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে কোষের মৃত্যু ঘটে। একে বলে ইসচেমিক স্ট্রোক বা থ্রম্বোসিস। সিটি স্ক্যানেও অনেক সময়ে এই রোগ ধরা পড়ে না।

আরও পড়ুন: হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথিতে ছুটি, পাঠ্য বইতে তাঁদের জীবনী, বনগাঁর সভায় বললেন মমতা

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest