এক মঞ্চে কুণাল ঘোষ, লক্ষ্মণ শেঠ। কুণাল বিধলেন বিজেপিকে। লক্ষ্মণ কেন্দ্রীয় সরকারকে। তবে এটা যে অরাজনৈতিক মঞ্চ আগাগোড়া বোঝাতেই ব্যস্ত থাকলেন দুজন। তবে কুণাল এবং লক্ষ্মণকে মঞ্চে পেয়ে ফের নতুন জল্পনার সৃষ্টি হল।
তবে কি তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন লক্ষ্মণ শেঠ? ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জল্পনা। অনেক আগেই ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তবে শুভেন্দুর আপত্তিতে লক্ষণের তৃণমূলে যোগ দেওয়া হয়নি। শুভেন্দুর তৃণমূল সম্পর্ক চলেছে এই আভাস পেয়েই কি লক্ষ্মণ শেঠ তৃণমূলে যোগ দেওয়ার বিষয়ে তৎপর হয়ে উঠেছেন? উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: করোনা টেস্ট ৯৫০ টাকা থেকে ৯ লক্ষ পড়ুয়াকে ফ্রি ট্যাব! মুখ্যমন্ত্রীর সব ঘোষণা জেনে নিন এক ক্লিকে…
শুভেন্দু অধিকারী ও তৃণমূলের সম্পর্ক নিয়ে যখন এই মুহূর্তে উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি, সেসময় তৃণমূল নেতার সঙ্গে লক্ষ্মণ শেঠের সখ্য নতুন করে ভাবিয়ে তুলল রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশকে।
বাম আমলে রাজ্যে হলদিয়া, তমুলক লক্ষ্মণের গড় বলেই পরিচিত ছিল। ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে, বাম শাসনের একেবারে শেষদিকে তমলুক থেকে লড়াই করে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikary) কাছে পরাজিত হওয়ার পর তাঁর এই পরিচয় বদলে যায়। বহু কেলেঙ্কারিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে।
দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক কেরিয়ারে কার্যত খরা নেমে আসে। পরবর্তী সময়ে তিনি বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কাছ থেকে দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগদান করেন। সেই অধ্যায়ও বেশিদিনের ছিল না। ২০১৮ সালে তিনি বিজেপির সঙ্গত্যাগের ঘোষণা করেন। তারপর সেভাবে আর লক্ষ্মণ শেঠকে সক্রিয় রাজনীতিতে দেখতে পাওয়া যায়নি।
এদিন কুণাল জানান, ‘নন্দীগ্রামে গন্ডগোল করতে চাননি, মহাকরণ ও পার্টির চাপে করতে হয়েছিল। তাই নিয়ে লক্ষ্মণ শেঠ আজও অনুশোচনায়। লক্ষ্মণ শেঠ জানিয়েছেন আমাকে।’
আরও পড়ুন: কৃষকদের প্রতি ‘বঞ্চনা’র প্রতিবাদ, পদ্মবিভূষণ ফেরালেন প্রকাশ সিং বাদল