‘খানদানি রাজনীতি ‘! আব্বাসকে ‘টাইট’ দিতে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ ত্বহার’ !

ভোটের আগে ফুরফুরা শরিফে যাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করবেন বলে ত্বহাকে আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

রাজনীতি বিষম বস্তু। এখানে স্থায়ী শত্রু ও মিত্র থাকে না। এই যেমন ত্বহার কথায় ধরুন না। উন্নয়ন হলে বিজেপিকেও ভোট দিতে আপত্তি নেই। বলেছিলেন ত্বহা। কিং মেকার হবার সাধ তার বহু দিনের। মিডিয়াতে বহু দিন ধরেই মুখ দেখাচ্ছেন ত্বহা। কিন্তু এবার তিনি নিজেই পড়েছেন বিপদে। ভাইপো আব্বাস যে তাকে এমন মোক্ষম ধাক্কা দেবে তা বুঝতে পারেননি তিনি।

অগত্যা ভাইপোকে ঠেকাতে দিদির কাছে একপ্রকার আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন ত্বহা। মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা। বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রায় আধ ঘণ্টা কথা হয় ত্বহার। দিদিমনিও যে এই সুযোগকে কাজে লাগাবেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ভোটের আগে ফুরফুরা শরিফে যাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করবেন বলে ত্বহাকে আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।এমনটাই জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: প্রতিবেশীর হৃৎপিণ্ড কুচি কুচি করে কেটে আলুর তরকারি রান্না করল যুবক!

পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি ইতিমধ্যে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট গড়ে বিধানসভা ভোটের লড়াইয়ে নামার ঘোষণা করে দিয়েছেন। বাম-কংগ্রেসের জোট নিয়ে আলোচনা চলছে। সেই জট পুরোপুরি না কাটলে একা লড়াইয়েরও বার্তা দিয়েছেন আব্বাস। সত্যি কথা বলতে কি আব্বাসকে একেবারেই সিরিয়াসলি নিচ্ছেন না মুসলিমদের বড় অংশ।

মুসলিমরা কোনও কালে পীর -ফকিরের কথা শুনে ভোট দেয় না। মুসলিমরা রাজনীতি সচেতন। তারা জানে কখন কোথায় ভোট দিতে হয়। একসময় তারা এই বাংলায় কংগ্রেসের পাশে ছিল। পরে তারা সিপিএমকে ঢেলে ভোট দিয়েছে। এখন তারা তৃণমূলের পাশে। বর্তমান রাজনৈতিক মেরুকরণের সময়ে তৃণমূল ছাড়া এই বাংলায় অন্য কাউকে ভাবছেন না বেশিরভাগ মুসলিম।

আব্বাস কিংবা ত্বহাকে নিয়ে মুসলিমরা একেবারেই আগ্রহী নয়। যত আগ্রহ বাম মনস্ক ও কংগ্রেস মনস্ক লোকজনের। বিজেপির লোকেদেরও আগ্রহ নেহাত কম নেই। সে কারণেই মূল স্রোতের মিডিয়া আব্বাসকে নিয়ে এমন চর্চা করছে। এই বাংলার মূল স্রোতের মিডিয়াগুলির অবস্থা রাজনৌতিক দলগুলির থেকেও খারাপ। তাদের জনসংযোগ নেই। তারা একটা বিশেষ ধারণা নিয়ে চলে। সেটাই জনমনে স্থাপন করতে চায়। তা প্রতিষ্ঠিত হয় বটে কিন্তু মুসলিম মনে নয়। বাঙালি হিন্দু এই অগভীর এবং যুক্তি বর্জিত রাজনৈতিক প্রতিবেদন পড়ে বহু সময় বিশ্বাস করেন।

মুসলমানকে বোকা ভাবা কিছু রাজনেতা এবং মিডিয়ার দৌলতে আব্বাসও এখন বেশ ডাকাবুকো রাজনেতা। ত্বহা রাজনীতি করছেন অন্যভাবে। রাজনীতির ময়দানে সরাসরি না নেমে। তার লক্ষ্য জায়গা ফেরত পাওয়া। অনেকে বলছেন তিনি নাকি অনেকটাই কোনঠাসা হয়ে পড়েছেন। ঘাসফুল এল না গেল, তাতে তাঁর কিছু যায় আসে না। তাঁর মূল কাজ আব্বাসকে রোখা। তা না হলে  ত্বহার সব বাজারটা আব্বাস খেয়ে ফেলবেন। বাজার মানে আমদানি। ইতিমধ্যেই অনেকটা বাজার ‘ভাইপো’ খেয়ে ফেলেছেন বলে খবর।তা নাহলে মমতার বিরুদ্ধে একদা হুঙ্কার দেওয়া ত্বহা এমন করে দিদির আশ্রয় নিতেন না।

আরও পড়ুন: নিকাশিনালা পরিষ্কার করতে গিয়ে নিহত ৪ ঠিকাশ্রমিক, ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে কলকাতা পুরসভা

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest