বড় ভাঙন ধরতে চলেছে বিজেপিতে, নির্বাচনী বিপর্যয়ের পর ঘর ওয়াপসির ইঙ্গিত

আবার তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া বেশ কয়েকজন নেতা তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরার চেষ্টা করছেন। এমনকী বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার রাজ্য সহ–সভাপতি কাশেম আলি যোগাযোগ করেছেন বলে সূত্রের খবর।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

একুশের নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে রাজ্য বিজেপির। সাংসদ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের ভাঙিয়েও মুখ পুড়েছে গেরুয়া শিবিরের। যে স্বপ্ন ফেরি করা হয়েছিল তা বাস্তবায়িত হয়নি। এই পরিস্থিতিতে এখন পরাজিত প্রার্থীদের একাংশ দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি শুরু করেছেন। আবার তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া বেশ কয়েকজন নেতা তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরার চেষ্টা করছেন। এমনকী বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার রাজ্য সহ–সভাপতি কাশেম আলি যোগাযোগ করেছেন বলে সূত্রের খবর।

আরও পড়ুন : West Bengal Lockdown: লকডাউন উপেক্ষা করায় গ্রেফতার বিজেপির ৩ বিধায়ক

জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে মুকুল রায়ের হাত ধরেই পদ্মাসনে বসেন কাশেম। রাজ্য স্তরের দায়িত্বও পান। এখন তিনি ফিরতে চান তৃণমূল কংগ্রেসেই। এই মুসলিম নেতা রবিবার বলেন, ‘খুব ভুল করেছি। শরীর সুস্থ হলেই নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়ে আসব। আমি তৃণমূল কংগ্রেসেই ফিরে যেতে চাই। আসলে বিজেপি দলটা মুসলিমদের জন্য নয়। তবে অনেকেই আমার সঙ্গে ফিরতে চান। বিজেপি নির্বাচনী প্রচারে যেভাবে সংখ্যালঘুদের আক্রমণ করেছে সেটা বাংলার মানুষ ভালভাবে নেয়নি।’‌

তবে কাশেমেই থেমে থাকছে না বিষয়টি। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ২০২০ সালে ১৯ ডিসেম্বর মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভায় বিজেপিতে যোগ দেন হুগলির পুরশুড়ার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক শেখ পারভেজ রহমান। তিনি এখন বীতশ্রদ্ধ। যদিও এখানে বিজেপি জিতেছে। তবু গেরুয়া শিবির ত্যাগ করে তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরতে চান পারভেজ। তিনি বলেন, ‘‌আমরা পুরনো নেতারা না থাকাতেই আরামবাগ লোকসভা এলাকায় ৪টি আসনে তৃণমূল কংগ্রেস হেরে গিয়েছে। অভিমানে দল ছেড়েছিলাম। এখন ফিরতে চাই।’‌

হুগলির আর এক প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আলমগির মোল্লাও ফেরার কথা ভাবছেন। তবে তিনি স্বীকার করেননি। বিজেপিতে যাওয়া তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক কবিরুল ইসলামও এখন ঘরওয়াপসি চাইছেন। তিনি বলেন, ‘‌বিজেপিতে এসে ভুল করেছি। যে দলের রাজ্য সভাপতি বলেন, মুসলিমদের দরকার নেই, সেখানে থাকার মানে হয় না।’‌ এই পরিস্থিতি যদি চলতে থাকে তাহলে জেলায় জেলায় বিজেপির সংগঠন টেকানো মুশকিল হয়ে যাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

আরও পড়ুন :  পথ আটকাল পুলিশ, নবদম্পতিকে অনুরোধ করলেন ‘টুম্পা সোনা’ গান বাজাবেন না

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest