like Shraddha Murder case son and wife kill navy office, cut his body into pieces

Shraddha Murder: বাবাকে মেরে করাত দিয়ে ছ’টুকরো করে বারুইপুরের জয়, সঙ্গী মা

শ্রদ্ধাকে খুন(Shraddha Murder) করে ৩৫ টুকরো করেছিলেন তাঁর প্রেমিক আফতাব পুনাওয়ালা। এবার এমন ঘটনা ঘটল বারুইপুরে (Baruipur)। পুলিশের দাবি, বারুইপুরের প্রাক্তন নৌসেনাকর্মী উজ্জ্বল চক্রবর্তীকে খুন করেছেন তাঁর ছেলে ও স্ত্রী। এর পর দেহ ৫ টুকরো করে প্রতি রাতে সাইকেলে করে সেই দেহাংশ ফেলে এসেছে পুকুরে ও জঙ্গলে। উজ্জ্বলবাবুর বাকি দেহাংশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার হয়েছেন মা ও ছেলে।

শ্যামলী এবং জয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, আফতাবের ‘কীর্তি’ দেখে ‘অনুপ্রাণিত’ হয়েছিলেন তাঁরা। তাই উজ্জ্বলকে খুন করে দেহ তাঁরা টুকরো টুকরো করে ফেলে দিয়েছিলেন বাড়ির কাছাকাছি জলাশয়-সহ বিভিন্ন এলাকায়। রবিবার জয়কে নিয়ে বারুইপুরের ওই এলাকায় তল্লাশি চালায় পুলিশ।

জেরায় জয় এবং শ্যামলী জানিয়েছেন, তাঁরা উজ্জ্বলকে শ্বাসরোধ খুন করে ছয় টুকরো করে ফেলেছিল। এমনটাই দাবি পুলিশের। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, নৌসেনা থেকে অবসরের সমস্ত সর্বক্ষণ মত্ত অবস্থায় থাকতেন উজ্জ্বলবাবু। তাঁর ছেলে জয় চক্রবর্তী পলিটেকনিক পাঠরত।

১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় কোর্স ফি দেওয়া নিয়ে বাবার সঙ্গে বিবাদ বাধে ছেলের। এর জেরে বাবাকে ধাক্কা দেন জয়। মাটিতে পড়ে যান উজ্জ্বলবাবু। তখন তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন (nurder)করে ছেলে জয়। ঘটনার সময় সামনেই ছিলেন উজ্জ্বলবাবুর স্ত্রী শ্যামলীদেবী। এর পর ২ জনে মিলে দেহ নিয়ে যায় শৌচাগারে। সেখানে বাড়িতে থাকা কাটার দিয়ে দেহ থেকে ২টি হাত ও ২টি পা কাটে।জয়ের দেখানো জায়গা থেকে উজ্জ্বলবাবুর কাটা পা উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় শ্যামলী চক্রবর্তী ও জয় চক্রবর্তীকে।