Men's name in Lakshmi Bhandar! Suddenly stopped

Laxmi Bhandar: পুরুষের নাম লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে! হঠাৎ বন্ধ কেঁদে হাজির বিডিওর কাছে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

‘‘স্যার আমাকে বাঁচান’’— কাঁদতে কাঁদতেই জানালেন, গত কয়েক মাস হল লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।বিডিও ধমক দিয়ে বলেন, ‘‘আপনি তো পুরুষমানুষ, আপনি কী ভাবে লক্ষ্মীর ভান্ডারের (Laxmi Bhandar) টাকা পাবেন?’’ ভদ্রলোক তাঁকে একখানা কাগজ দেখিয়ে জানান, তাঁর নামেই এতদিন লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা আসত।

সব কিছু শোনার পরে বিডিও কাগজপত্র খতিয়ে দেখেন। জানতে পারেন, ভাঙড় ২ ব্লক এলাকার লাঙলবেঁকি গ্রামের বাসিন্দা আখের সাঁফুইয়ের নামে গত ছ’মাসে ধরে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের ৫০০ টাকা করে ঢুকেছে। আখের তাঁর স্ত্রী মর্শিদা বিবির নামে লক্ষ্মীর ভান্ডারে(Laxmi Bhandar) আবেদন করেছিলেন। মর্শিদা ও তাঁর স্বামীর জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকতে শুরু করে। হঠাৎ করে তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে মর্শিদা বিবির নামের বদলে আখের সাঁফুইয়ের নামে কার্ড। শুধু তাই নয়, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে আখেরের নামের পাশে ‘ফিমেল’ (মহিলা) লেখা রয়েছে। মর্শিদার নামের পাশে লেখা ‘মেল’ (পুরুষ)।

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করার ক্ষেত্রে পরিবারের প্রধান মহিলার নামে কার্ড করতে হবে এবং ওই মহিলার নামের সঙ্গে পরিবারের অন্য সদস্যদের নাম স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে নথিভূক্ত করতে হবে।লিঙ্গ বিভ্রাটের কারণে আখেরের পরিবারের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে ব্লক প্রশাসন।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee)  ঘোষণা অনুযায়ী, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প চালু হয়।

ভাঙড় ২ বিডিও কার্তিকচন্দ্র রায় বলেন, ‘‘লক্ষ্মীর ভান্ডার(Laxmi Bhandar) ও স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের(Swasthya Sathi) জন্য আবেদন করার সময়ে সফটওয়্যারের কোনও সমস্যায় লিঙ্গ-বিভ্রাট ঘটেছে। যে কারণে আখেরের নামের পাশে ফিমেল এবং মর্শিদার নামের পাশে মেল হয়ে গিয়েছে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest