নতুন করে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে চিনে (China)। একাধিক শহর ও প্রদেশে লকডাউন (Lockdown) জারি হয়েছে। সংক্রমণ ঠেকাতে শুধুমাত্র চাওয়াং ও হাইদিয়ানে ১২ হাজার মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। একাধিক আবাসন সিল করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বহু স্কুল-অফিস। এই পরিস্থিতিতে চিনা প্রশাসনের নয়া সন্দেহ, শিশুদের জামাকাপড় থেকে করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। মূলত অনলাইন শপিংকেই ভিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, বছর শেষের আগেভাগে শপিংমলগুলি ও অনলাইন কেনাকাটার অ্যাপগুলি জামাকাপড় সহ অন্যান্য সামগ্রীর উপর ব্যাপক ছাড় দিচ্ছিল। বেড়েছিল ক্রেতার সংখ্যাও। চীনা প্রশাসনের আশঙ্কা, সে সব জিনিসপত্র যে পার্সেলে করে আসছে, তা থেকেও করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। কয়েকদিন আগেই চীনের হুবেই প্রদেশে শিশুদের জামাকাপড় তৈরি করেন এমন তিনজন কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। এরপরই সচেতন হয়েছে প্রশাসন। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ১২০০ মাইল দূরেও কেউ যদি ওই সংস্থার পার্সেলের সংস্পর্শে আসে, তাদের অবশ্যই করোনা পরীক্ষা করাতে হবে।
হুবেই প্রদেশের একটি ই-কমার্স কোম্পানির ৩০০ পার্সেল পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। যদিও তাতে ভাইরাসে ছোঁয়া পাওয়া যায়নি। এছাড়াও সংক্রমণ রুখতে শিংজি, সেনজে শহরে অনলাইন শপিং বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফ্রোজেন খাবার বা মাছ, মাংস থেকে শুরু করে প্রক্রিয়াজাত খাবারের উপরেও চলছে বিশেষ নজরদারি। বিদেশ থেকে আসা পার্সেলের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। এছাড়াও প্যাকেজিং ও আনপ্যাকেজিং-এর সময় অবশ্যই মাস্ক ও গ্লাভস পরার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক চিনা নাগরিক অভিযোগ জানাতে শুরু করেছেন, বাড়িতে অনলাইন মাধ্যমে কোনও সামগ্রী আনালেই তাঁকে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে। চিনের স্বাস্থ্য কমিশন যে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে দেশের নাগরিকদের স্বাস্থ্যের উপর নজর রাখে, পার্সেল নিলেই সেই অ্যাপে ওই ব্যক্তির স্বাস্থ্যের স্টেটাস সবুজ থেকে হলুদ হয়ে যাচ্ছে। এর ফলেই তাঁদের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হচ্ছে।