Imran Khan: Former Pakistan Prime Minister Imran Khan Arrested

Imran Khan: গ্রেফতার ইমরান খান, সেনা সদর দফতরে আগুন, ইসলামাবাদে জারি ১৪৪ ধারা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেফতার করা হল। মঙ্গলবার সকালে ইসলামাবাদ হাই কোর্টের সামনে থেকে পাক আধাসেনা রেঞ্জার্স বাহিনী তাঁকে হেফাজতে নেয়। পরে তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার বিকেলে প্রশাসনের তরফে এ কথা জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, অশান্তি এড়াতে ইসলামাবাদ জুড়ে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। পুলিশ জানিয়েছে, ৫ জন বা তার বেশি মানুষের জমায়েত হলেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনাচক্রে, গত সপ্তাহেই ইমরান প্রকাশ্যে অভিযোগ করেছিলেন পাক সেনার মেজর জেনারেল ফয়জল নাসের গত বছর লাহোরে তাঁর উপর হামলার ঘটনার মূল ষড়যন্ত্রী। তার পরেই ওই গ্রেফতারি। ওই হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন ইমরান।

পাক পুলিশের দাবি, জমি কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত একটি মামলার কারণেই পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান ইমরানকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয়েছে। আল কাদির ট্রাস্টের জমি হস্তগত করার অভিযোগ সম্প্রতি ইমরানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলার জামিন নিতেই মঙ্গলবার সকালে ইসলামাবাদ হাই কোর্টে গিয়েছিলেন তিনি। আদালত চত্বরে ঢোকার আগেই তাঁকে গ্রেফতার করে রেঞ্জার্স বাহিনী।

আরও পড়ুন: Dalai Lama: নাবালককে ঠৌঁটে চুম্বন, জিভ চুষতে বললেন দলাই লামা, ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই জোর বিতর্ক

গ্রেফতারির সময় ইমরান সমর্থকেরা বাধা দিলে হাই কোর্ট চত্বরে তাঁদের সঙ্গে রেঞ্জার্স বাহিনীর সংঘর্ষ বাধে। প্রসঙ্গত, জমি দুর্নীতির ওই মামলায় আগেই প্রাক্তন পাক ক্রিকেট অধিনায়কের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল নিম্ন আদালত। অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ইমরান এবং তাঁর স্ত্রী মানেকার মালিকানাধীন ওই ট্রাস্ট বেআইনি ভাবে একটি বাণিজ্যিক সংস্থার থেকে প্রায় ৫৩ কোটি টাকা মূল্যের জমি নিয়েছিল। কিন্তু ঘটনাচক্রে, সোমবারই পাক সেনা ইমরানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ তুলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল তাঁকে।

ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের তরফে ‘ক্যাপ্টেনের’ গ্রেফতারির প্রতিবাদে দেশ জুড়ে বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে। ইমরান খানের গ্রেফতারির প্রতিবাদে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রওয়ালপিন্ডির সেনা সদরের গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়েন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর কয়েকশো সমর্থক। পেশোয়ারের সেনা শিবিরে একই কায়দায় ঢুকে লাগানো হল আগুন। হামলা হয় করাচি সেনা নিবাসেও। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে কোনও ক্ষেত্রেই নিরাপত্তায় মোতায়েন পাক জওয়ানেরা শক্তি বা অস্ত্র প্রয়োগ করে বিক্ষোভকারীদের আটকানোর চেষ্টা করেননি।

পাক সংবাদমাধ্যমের একাংশ জানাচ্ছে, সত্তরের দশকে সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত পাক প্রধানমন্ত্রী তথা ‘পাকিস্তান পিপলস পার্টির’ প্রধান জুলফিকার আলি ভুট্টোর গ্রেফতারির প্রতিবাদেও পাকিস্তান জুড়ে বিক্ষোভ হয়েছিল। কিন্তু সরাসরি সেনার গায়ে আঁচ লাগেনি। পাকিস্তানের ইতিহাসে এই প্রথম বার রাজনৈতিক বিক্ষোভের আঁচ পড়ল সেনার সদর দফতরে।

আরও পড়ুন: Third Charles Coronation: সিঙ্গুরের মেয়ের ডিজাইনার পোশাকে শপথ নেবেন রাজা তৃতীয় চার্লস, জেনে নিন দিনক্ষণ

 

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest