Iran Hijab Row : 5 killed after security forces fired on protesters after Mahsa Amini's death in morality police custody

Iran Hijab Protest : হিজাব না পরায় তরুণীকে পিটিয়ে হত্যা পুলিশের, প্রতিবাদে উত্তাল ইরানে প্রাণ গেল ৫ বিক্ষোভকারীর

হিজাব (Hijab) পরেননি। এই ‘অপরাধে’ তরুণীকে থানায় নিয়ে গিয়ে অকথ্য নির্যাতন চালাল পুলিশ। পুলিশের মারে মৃত্যু হল ২২ বছরের মাহশা আমিনির। এমনই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হল ইরান (Iran)।

মাহশার মৃত্যুর পর থেকেই শুরু হয়েছিল বিক্ষোভ প্রতিবাদ। ক্ষোভে ফুঁসছিলেন ইরানের মহিলারা। পথে নেমে হিজাব উড়িয়ে তাঁরা নারী অধিকারের দাবি তোলেন। স্লোগান দেন ‘অত্যাচারীর মৃত্যু হোক’, ‘নারী, জীবন, স্বাধীনতা’। কিছু ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে নিরাপত্তা কর্মীরা কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করছেন।

এইসঙ্গে মাহসার মৃত্যুর প্রতিবাদে বহু তরুণী চুল কেটে, হিজাব পুড়িয়ে প্রতিবাদে সামিল হন। চুল কাটা ও হিজাব পোড়ানোর ভিডিও সোশ্যাল মডিয়ায় পোস্ট করেন তাঁরা। ইরানের সাংবাদিক ও সমাজকর্মীরা এই ধরনের প্রতিবাদী ভিডিও টুইট করায় তা গোটা বিশ্বের সামনে চলে আসে। বেশ কয়েকদিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও থামেনি সেই বিক্ষোভ। সোমবার সেই প্রতিবাদ মিছিলেই গুলি চালায় নিরাপত্তা রক্ষী বাহিনী। গুলিতে মারা গিয়েছেন ৫ জন।

আরও পড়ুন: ‘নোংরা হিন্দু গোমাংস খাও না’, আমেরিকায় প্রবাসী হিন্দুকে বললেন প্রবাসী শিখ

হেনগ মানব অধিকার সংস্থা (Hengaw Human Rights Organization) টুইটারে জানিয়েছে, কুর্দিস্তান অঞ্চলের সাকেজ শহরে বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। তাদের গুলিতে মারা গিয়েছেন ২ জন। আর দিভানদারেহ শহরে নিরাপত্তা রক্ষীদের গুলিতেও আরও ২ জনের প্রাণ গিয়েছে। আরেকজন মারা গিয়েছেন কুর্দিশ অঞ্চলের দেহগোলানে। তবে এই মৃত্যুর বিষয়ে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি।

উল্লেখ্য, গত ৫ জুলাই মেয়েদের জন্য নতুন পোশাক বিধি জারি করেছেন রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম রাইসি। সেখানে মহিলারা কী কী পোশাক কীভাবে পরবেন সেই তালিকা দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকেই পোশাক বিধির অন্যথা হলেই তীব্র তিরস্কার, জরিমানা বা গ্রেপ্তারির সম্মুখীন হতে হচ্ছে ইরানের মেয়েদের। অভিযোগ, মাহসাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ভ্যানে তোলার সময় বেধড়ক মারধর করা হয়। তাতেই অসুস্থ হন তিনি। যদিও পুলিশের দাবি তরুণীকে মারধর করা হয়নি। তবে গ্রেপ্তারের পরেই অসুস্থ হন তিনি। হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এরপর কোমায় চলে যান। হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর।

ওই তরুণীর জিজ্ঞাসাবাদের একটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করে পরিস্থিতি সামাল দিতে চেয়েছে নীতি পুলিশ। কিন্ত সেখানে ১৯ সেকেন্ডের ভিডিও নেই। যা ঘিরে বিতর্ক আরও ঘনীভূত হয়েছে। মাহশার ভাই কিয়ারাশ জানাচ্ছেন, ”আমরা লড়ব। কিন্তু সকলেই জানে এখানকার সিস্টেমটা কেমন। তবু আমি চুপ থাকব না। আমি সকলকে বলব ইরানে কী হয়েছে।”

আরও পড়ুন: Earthquake: ভূমিকম্পে তাইওয়ানে ধসে পড়ল বাড়ি, উল্টে যাচ্ছে মেট্রো (দেখুন Video)