#নয়াদিল্লি: দেশ গঠনে আরএসএসের ভূমিকা কেমন ছিল, সেটা এবার থাকবে কলেজের পাঠ্যে। নাগপুর ইউনিভার্সিটির পাঠ্যবইতে আরএসএসের ইতিহাস পড়ানো হবে ছাত্রছাত্রীদের। উল্লেখ্য, নাগপুরেই রয়েছে সঙ্ঘের হেডকোয়ার্টার।
সম্প্রতি সিলেবাস পরিবর্তন করেছে রাষ্ট্রসন্ত তুকদোজি মহারাজ নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয় ৷ স্নাতক স্তরে ভারতের ইতিহাস অধ্যায়ে এবার পড়ুয়াদের রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের জন্ম মুহূর্ত থেকে স্বাধীনতা পাওয়া অবধি সময়ের কার্যকলাপ সম্পর্কে পড়তে হবে ৷
এই প্রথম কোনও রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের পাঠ্যে স্বঘোষিত হিন্দুত্ব সংগঠনের ইতিহাসকে অন্তর্ভুক্ত করল ৷ স্নাতকস্তরের দ্বিতীয় বর্ষের সিলেবাসে সামান্য পরিবর্তন ঘটিয়ে জায়গা দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের ইতিহাসকে ৷ সিলেবাস পরিবর্তনের এমন ঘটনা সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ৷ এমন ঘটনায় শিক্ষায় গৈরিকীকরণের অভিযোগ তুলেছেন অনেক শিক্ষাবিদ৷
উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রের নাগপুরেই আরএসএস-এর গোড়াপত্তন ৷ ১৯২৫ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ৷ সিলেবাসে দেশ গঠনে ভূমিকা নিয়েছেন যারা সেই অধ্যায়ে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের উল্লেখ করা হয়েছে ৷ এর সঙ্গেই যুক্ত হয়েছে তার ইতিহাস ৷ কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের ফিরে আসার পর পরই এই সিলেবাস পরিবর্তনের কথা সামনে আসায় শিক্ষায় জোর করে হিন্দুত্ববাদ ঢোকানোর অভিযোগ উঠেছে ৷ কারও কারও মতে শিক্ষায় গৈরিকীকরণের উদ্দ্যেশেই এই প্রচেষ্টা ৷ মোদি জমানাতেই প্রথম নয়, সিলেবাসে গৈরিকীকরণ বা হিন্দুত্ববাদের থাবার অভিযোগ এর আগে শেষবার বাজপেয়ী জমানায় উঠেছিল ৷ সেসময় মুরলী মনোহর যোশী ছিলেন মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী ৷
নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন পদক্ষেপ গোটা দেশে সমালোচনার মুখে৷ সিলেবাস কমিটির আধিকারিক সতীশ ছ্যাপলে সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে বলেছেন, পাঠ্যে আরএসএস-এর ইতিহাস নতুন কিছু নয় ৷ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের ইতিহাস ২০০২ সাল থেকেই মাস্টার্স কোর্সের অন্তর্ভুক্ত৷ তারই ছোট একটা অংশ পড়ুয়াদের জ্ঞান বাড়াতে স্নাতক স্তরের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও থামছে না বিতর্ক ৷