ওয়েব ডেস্ক: ৯ মে থেকে ২৭ মে পর্যন্ত শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে মৃত্যু হয়েছে ৮০ জনের। রেলমন্ত্রককে দেওয়া প্রাথমিক রিপোর্টে এমনটাই জানিয়েছে আরপিএফ। রেলের ডিভিশন উল্লেখ করে কোথায় কত মৃত্যু হয়েছে তার প্রাথমিক তালিকা রেলকে জমা দিয়েছে আরপিএফ।
রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্সের তরফে বলা হয়েছে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দিতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে। অনেকের বক্তব্য, সম্পূর্ণ রিপোর্ট এলে দেখা যাবে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেড়েছে।
আরও পড়ুন: তিন তালাক, ৩৭০ ধারা বিলোপ,রামমন্দির থেকে CAA,দেখুন মোদি ২.০-র ‘মেজর’ সিদ্ধান্তগুলি
২৭ মে পর্যন্ত তিন হাজার ৮৪০ টি ট্রেন চলেছে বলে রেলের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। কমবেশি ৫০ লক্ষ মানুষ এই সব ট্রেনে চেপে বাড়ি ফিরেছেন। রেলের তরফে বলা হয়েছে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের অধিকাংশই রোগী। তাঁরা চিকিৎসা করিয়ে ফিরছিলেন। অনেকের বয়সজনিত অসুস্থতাও ছিল।
৮০টি মৃত্যুর মধ্যে ১৮টি ঘটনা ঘটেছে উত্তর-পূর্ব ভারতে। ১৯টি ঘটনা ঘটেছে উত্তর-মধ্য ভারতে। ১৩টি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে রেলের পূর্ব ক্ষেত্রে। এই স্পেশাল ট্রেনগুলির ৮০ শতাংশই উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের উদ্দেশে যাচ্ছিল।
দু’দিন আগেই রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল আবেদন করেন, কোনও অসুস্থ এবং অন্তঃসত্ত্বা যেন শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে না ওঠেন। তিনি বলেন,১০ বছরের নীচে, ৬৫ বছরের উর্দ্ধে কেউ যেন শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে না ওঠেন।
সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে বিহারের মুজফফরাবাদ স্টেশনে এক মহিলা সহ ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসিতে ট্রেনের শৌচাগার থেকে এক পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ উদ্ধার হয়েছে। এতজনের মৃত্যুর পরেও রেলমন্ত্রকের দাবি, মাত্র কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।
রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান বিনোদ কুমার যাদবের দাবি, এ মাসে ৩,৮৪০টি ট্রেনে ৫০ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিককে নিজেদের শহরে ফেরানো হয়েছে। ৮০ শতাংশ পরিযায়ী শ্রমিকই ফিরেছেন বিহার ও উত্তরপ্রদেশে। পরিযায়ী শ্রমিকরা ট্রেনে খাবার ও জল না পাওয়ার যে অভিযোগ করেছেন, তা অস্বীকার করেছেন রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন: বাঁদরামি! করোনা পরীক্ষার স্যাম্পেল চুরি করল বাঁদর, চিবিয়ে খেল সার্জিক্যাল গ্লাভস