এখনও সময় আছে, ক্ষমা চেয়ে নিন। আদালত অবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়া প্রশান্ত ভূষণকে বলেছিল শীর্ষ আদালত। কিন্তু নিজের বিতর্কিত টুইটের জন্য ক্ষমা চাইতে রাজি হলেন না এই প্রতিযশা আইনজীবী। সেই কথা সোমবার জানিয়ে দিলেন সুপ্রিম কোর্টে।
নিজের টুইটে প্রধান বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্টের ওপর আক্রমণ করেছিলেন ভূষণ। এদিন আদালতে জমা দেওয়া লিখিত বিবৃতিতে প্রশান্ত ভূষণ বলেন যে তিনি যা বিশ্বাস করেন সেটাই টুইট করেছেন। সেটা থেকে পিছিয়ে এলে আন্তরিক ভাবে ক্ষমা চাওয়া হবে না বলেই তিনি মনে করেন।
আরও পড়ুন : প্রয়োজনে সেনা অভিযানে নামব, লাদাখ নিয়ে চিনকে হুঁশিয়ারি রাওয়াতের
আইনজীবী বলেছেন যে ক্ষমা চাইলে সেটা মন থেকে বলা উচিত। কিন্তু যেটা তিনি বিশ্বাস করেন, সেই বিষয় ক্ষমা চাইলে সেটা তাঁর বিবেকের সঙ্গে অবমাননা করা হবে ও সুপ্রিম কোর্টের মতো প্রতিষ্ঠানকেও ছোটো করা হবে বলে তাঁর বিশ্বাস।
বিতর্কিত টুইটের জন্য প্রশান্ত ভূষণকে দোষী সাব্যস্ত করে শীর্ষ আদালত চলতি মাসের ১৪ তারিখ। এরপর ২০ তারিখ তাঁকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য দুইদিন সময় দেওয়া হয়। ভূষণকে শাস্তি না দিতে বলে আর্জি জানান স্বয়ং সরকারের সর্বোচ্চ আইন অফিসার, অ্যাটর্নি জেনারেল বেনুগোপাল। তারপরেই আরেকটা সুযোগ দেওয়া হয় প্রশান্ত ভূষণকে। কিন্তু তিনি অনড় মনোভাব রাখায় এবার আদালতের পরবর্তী পদক্ষেপ কি হয়, সেটাই দেখার।
২৭ ও ২৯ জুন দুটি বিতর্কিত টুইট করেছিলেন প্রশান্ত ভূষণ। একটিতে তিনি বলেছিলেন যে ঐতিহাসিকরা ভবিষ্যতে দেখবে এই ছয় বছরে আনুষ্ঠানিক ভাবে এমার্জেন্সি না থাকলেও তিল তিল করে গণতন্ত্র ভুলুন্ঠিত হয়েছে দেশে। এতে সুপ্রিম কোর্ট বিশেষত শেষ চার প্রধান বিচারপতির বড় হাত আছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
বিজেপি নেতার দেওয়া মোটরসাইকেল চড়ছেন প্রধান বিচারপতি মাস্ক ও হেলমেট না পরে। এটি ছিল তাঁর দ্বিতীয় টুইট। এই দুই টুইটের জন্য সুপ্রিম রোষের মুখে পড়েন প্রশান্ত ভূষণ। এতেই নাকি সুপ্রিম কোর্টের ভীত নড়ে গিয়েছে।
আইনবিদরা অনেকেই বলেছেন এটা কোনওভাবে আদালত অবমাননা হতে পারে না। একজন মোটর বাইকে বিনা হেলমেটে চড়লে সে সম্পর্কে অন্য কেউ মন্তব্য করলে তা একান্তই ব্যাক্তিমত। তার সঙ্গে আদালতের কোনো সম্পর্ক নেই। ইতিহাস বিচার করবে বলে যে মন্তব্য প্রশান্তভূষণ করেছেন, তাও আদালত অবমাননার মধ্যে পরে না। তিনি কোনও সিটিং বিচারপতি নিয়ে মন্তব্য করেননি। তাছাড়া তিনি ইতিহাসের বিচার করার কথা বলেছেন। এটি কোনোভাবে আদালত অবমাননা হতে পারে না।
আরও পড়ুন : ৫০ বছর ধরে ড্রয়ার বন্দি! সামনে আসতেই রেকর্ড দামে বিক্রি হল মহাত্মা গান্ধীর চশমা