ধবার সন্ধ্যায় রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণির সঙ্গে বসলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুনলেন তাঁদের দাবিদাওয়ার কথা। দিলেন আশ্বাসও। লক্ষ্যণীয় বুধবার নবান্ন সভাঘরে মমতা মনে করিয়ে দিলেন, মতুয়াদের কাছে প্রথমে তিনিই পৌঁছেছিলেন। ঠাকুরবাড়ির সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ সম্পর্ক।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘বড়মা থাকাকালীন নিজের হাতে মতুয়াদের উন্নয়নের ব্যাপার আমি দেখেছি। এখন যাঁরা উড়ে এসে জুড়ে বসছে তাঁরা জানেন না। বড়মা যতদিন বেঁচে ছিলেন, প্রায় ২০–২৫ বছর ধরে বড়মার দেখাশোনা, চিকিৎসা— সবটাই আমি করতাম। বালু (মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক) আছে উত্তর ২৪ পরগনায়। বালু আমাকে বলত আর আমি এখানে হাসপাতালে এনে ভর্তি করাতাম বড়মাকে। সবটাই করতাম। তার পরই মমতাবালা ঠাকুর আর ওঁদের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। তার আগে আমি ওঁদের চিনতাম না।’
আরও পড়ুন : রহস্যভেদ করবেন অঙ্কুশ, সঙ্গী দর্শনা, আসছে রোমাঞ্চে ভরপুর ‘মৃগয়া’
বরাবরই মতুয়াদের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে বিজেপি। কিন্তু কেন্দ্রের এনআরসি ও সিএএ–র জেরে মতুয়া সম্প্রদায়ের যে গোঁসা হয়েছে অমিত শাহ সেটি তাঁর দু’দিনের সফরসূচিতে ভাঙানোর চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের উন্নয়নের স্বার্থে তিনি কিছু বার্তাও দিতে পারেন। কিন্তু তার আগেই বুধবার মতুয়া উন্নয়ন পর্ষদ গঠন করে তার জন্য ১০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা জানিয়ে মোক্ষম চাল দিলেন মমতা।
তাঁর কথায়, ‘মতুয়ারা শুধু বনগাঁ বা রানাঘাটে থাকেন না, উত্তরবঙ্গে, কৃষ্ণনগরেও অনেক মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছেন। তাই মতুয়া উন্নয়ন পর্ষদের কমিটি সারা বাংলার লোকজনকে নিয়ে তৈরি করতে হবে।’
মতুয়াদের জন্য নমঃশূদ্র উন্নয়ন পর্ষদ গঠন করে ৫ কোটি টাকা দিয়েছেন বলেও স্মরণ করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পাশাপাশি বাউড়ি, দুলে ও মাঝিদের জন্য দুটি উন্নয়ন পর্ষদ গঠনের ঘোষণা করেন। তাদের দেওয়া হবে ৫ কোটি টাকা। তফশিলি জাতি ও নমঃশূদ্র সম্প্রদায়ের মানুষের জন্যে পাট্টা বিলিও করেন মমতা।
আরও পড়ুন : সরকারি জায়গায় ‘পর্ন’ ভিডিয়ো শ্যুট, দায়ের জোড়া FIR, গ্রেফতারির মুখে পুনম পাণ্ডে!