পাটনা: পাকিস্তানের চোখে চোখ রেখে প্রায় প্রতিদিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছে ভারত। সীমান্তে শত্রুর ব়াডার এবং সেনসরের ওপর নজর রাখতে পাঠানো হয়েছে স্যাটেলাইট। বুক ঠুকে সেসব সাফল্যের কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু এসব করতে গিয়ে প্রদীপের নিচে থেকে গিয়েছে অন্ধকার।
এনডিএ শাসিত রাজ্যে বিহারে গেলেই মিলবে একথার প্রমান। স্বাধীনতার সাত দশক পরেও এখনও কল পায়নি বিহারের বাঁকা জেলার চান্দওয়াড়ি গ্রাম। বাঁকা এলাকার চান্দওয়াড়ি গ্রামের মানুষদের ব্যবহারের জন্য নেই কোনও পরিষ্কার জলের ব্যবস্থা। নোংরা পুকুরের জল দিয়েই চলে জলের সাহায্যে ব্যবহৃত সকল কাজ।
ওই পুকুরের জল দিয়েই হয় রান্না। পানীয় জল হিসেবে ওই পুকুরের জলই ব্যবহার করা হয়। পুকুর পারে বসেই সবাই কাপড় কাচেন। স্নান করতেও ভরসা সেই পুকুর। এছাড়াও শৌচকর্মের জন্যেও সেই পুকুরের জলই ভরসা। শোউচকর্মের জন্য অনেকে আবার পুকুর থেকে বাড়িতে জল টেনে নিয়ে যেতে নারাজ। সমগ্র কাজটিই হয় পুকুরে। সেই পুকুর থেকেই সংগ্রহ করা হয় পানীয় জল।
ভারতের অন্যান্য গ্রামের মতো বিহারের চান্দওয়াড়ি গ্রামেও গবাদি পশু পালনের রেওয়াজ রয়েছে। পশুর খাওয়ার জন্যেও এই পুকুরের জল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দা সরজু পুঝার জানিয়েছেন যে এই গ্রামে মানুষ এবং পশু সবাই একই জল পান করে থাকে। এতেই সবাই অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই কারণে জলবাহিত রোগের প্রকোপ মারাত্মকভাবে দেখা যায় এই গ্রামে। এই বিষয়ে সরজু বলছেন, “সে তো হবেই। কয়েক মাসে চার থেকে পাচ জন প্রাণ হারিয়েছেন। গ্রাম থেকে হাসপাতালের দূরত্ব প্রায় পাঁচ কিলোমিটার।”
রাজ্যটি এনডিএ শাসিত হলেও এলাকাটি আরজেডি সাংসদ জয়প্রকাশ নারায়ণ যাদবের অধীনে। যদিও গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন তিনি।