#বারুইপুর: সপ্তম দফার নির্বাচনের দু’দিন আগে নাকা তল্লাশির সময় লক্ষাধিক টাকা-সহ গ্রেপ্তার বিজেপি নেতা৷ বৃহস্পতিবার রাতে বারুইপুর এলাকায় পাঁচ বিজেপি নেতাকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ৷ ধৃতদের মধ্যে দুই মহিলা-সহ তিনজন পুরুষ রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে৷ ধতদের নাম মিন্টু হালদার, কৌশিক মণ্ডল, সরস্বতী হালদার ও নমিতা সর্দার৷ধৃত মিন্টু বারুইপুর মণ্ডল বিজেপির বারুইপুর সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক। ধৃতদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে ২৪ লক্ষ ১২ হাজার টাকা৷
বৃহস্পতিবার রাতে নাকা তল্লাশির সময় জয়নগরের বকুলতলা এলাকার বুড়োগাট থেকে একটি সাদা রংয়ের গাড়িকে আটক করে পুলিশ। গাড়িটি তল্লাশি করতে চায় পুলিশ। তখনই জানা যায় গাড়িতে রয়েছে বিজেপির কর্মীরা। এরপরই যাত্রীদের সঙ্গে বচসা বাধে পুলিশের। যদিও শেষপর্যন্ত তল্লাশি চালাতে দিতে বাধ্য হয় ওই বিজেপি নেতারা। পুলিশ সূত্রে খবর, নির্বাচনের আগে এত টাকা কী কারণে নিয়ে যাচ্ছিল, সেই প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেনি বিজেপির কর্মীরা। এরপরই পুলিশ গ্রেপ্তার করে তাদের। পুলিশের অনুমান নির্বাচনের আগে এলাকায় বিপুল পরিমাণ টাকা ছড়ানোর জন্যই এত টাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ধৃতদের শুক্রবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে। যদিও বিজেপি-র তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। বিজেপি নেতা সুদীপ বিশ্বাস বলেন, “মিন্টু হালদার একজন ব্যবসায়ী। এই টাকার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।”
সপ্তম দফাতে সুষ্ঠ ও অবাধ নির্বাচনের লক্ষ্যে কড়া নিরাপত্তার বন্দবস্ত করেছে নির্বাচন কমিশন৷ প্রত্যেক পয়েন্টে পয়েন্টে নাকা তল্লাশির ব্যবস্থা হয়েছে৷ ইতিমধ্যে বিভিন্ন এলাকাতে টহলদারির কাজ শুরু করেছেন নিরাপত্তারক্ষীরা৷ এই কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে একাধিক এলাকায় বিপুল পরিমাণ টাকা-সহ গ্রেপ্তার হয়েছেন বিভিন্ন ব্যক্তিরা৷ আসানসোল স্টেশন থেকে কোটি টাকা-সহ গ্রেপ্তার হয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক-সহ এক ব্যক্তি৷ বৃহস্পতিবার দুর্গাপুর থেকে সত্তর লক্ষ টাকা-সহ গ্রেপ্তার হয়েছেন আরও এক৷