এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিস থেকে বেরিয়ে কংগ্রেসকে একহাত নিয়েছেন সর্বভারতীয় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ভোটপ্রচারের মঞ্চ থেকেও কংগ্রেস-বিজেপির জোট নিয়ে সরব হয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। দলীয় মুখপত্রে কংগ্রেসকে ‘পচাডোবা’ বলেও কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। এমনকী, জাতীয় স্তরে কংগ্রেসের শক্তিক্ষয় করে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন একাধিক নেতা-কর্মী। এমন আবহে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন অভিষেক।
বুধবার গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো যোগ দিলেন তৃণমূলে। চলতি সপ্তাহেই কংগ্রেস বিধায়কের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে সেই যোগদান কর্মসূচির পরে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে অভিষেকের বলেন, ‘‘একক শক্তিতে গোয়ার আসন্ন বিধানসভা ভোটে লড়বে তৃণমূল।’’ এই মন্তব্যে তিনি কার্যত অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ‘আম আদমি পার্টি’র সঙ্গে সমঝোতার সম্ভাবনা নাকচ করলেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মমতার সঙ্গে নবান্নে সাক্ষাতের পরই তৃণমূলে যোগ দিলেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী
কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়েও কটাক্ষ করেন অভিষেক। কংগ্রেসের ‘বিদ্রোহী’ ২৩ নেতার (জি-২৩ নামে যাঁরা পরিচিত) তোলা প্রশ্নের প্রসঙ্গও শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। অভিষেক বলেন, ‘জি-২৩-তোলা প্রশ্নগুলির জবাব দিতে হবে কংগ্রেস নেতৃত্বকে।’’ প্রসঙ্গত, কংগ্রেসে ‘সুনেতৃত্বের অভাব এবং সাংগঠনিক সমস্যাগুলি তুলে ধরে গত বছর সনিয়া গান্ধীকে চিঠি দিয়েছিলেন ২৩ জন শীর্ষস্থানীয় প্রবীণ ও নবীন কংগ্রেস নেতা।
বিজেপি ছাড়া অন্য কোনও দলের বিরুদ্ধে তৃণমূলের লড়াই নয় বলেও বুধবার দাবি করেন অভিষেক। যদিও সেই সঙ্গেই তাঁর মন্তব্য, ‘‘কিন্তু কংগ্রেস যদি রাস্তায় না নেমে বাড়িতে আরামে বসে থাকে তবে আমরাও বসে থাকতে পারি না। আমরা বিজেপি-কে হারাতে চাই।’’ কংগ্রেস সম্পর্কে অভিষেকের এমন তির্যক মন্তব্য কেন্দ্রে বিজেপি-বিরোধী ঐক্য আরও নড়বড়ে করে দিল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।