বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ তথা মহিলা নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে আড়াআড়িভাবে বিভক্ত হয়ে পড়ল বঙ্গ–বিজেপি। কারণ এখনও কোনও পদক্ষেপ করা যায়নি তাঁর বিরুদ্ধে। যেখানে তিনি একের পর এক দল বিরোধী পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমনকী দলের ভার্চুয়াল বৈঠকে রাজ্যের নেতাদের অপমান করে ভাটের বৈঠকে ডাকবেন না বলে বেরিয়ে গিয়েছেন। এরপর ঠিক হয়েছিল, কড়া পদক্ষেপ করা হবে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। কিন্তু দলের অন্দরে রূপাকে নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ার জন্য তা করা যাচ্ছে না বলেই সূত্রের খবর।
কলকাতা পুরসভার ভোট (Kolkata Municipal Election) আগামী রবিবার। ঠিক তার আগে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের ফেসবুক পোস্টে নির্দল প্রার্থীকে সমর্থনের বার্তা নিয়ে দলের মধ্যে আবার আলোড়ন শুরু হয়েছে। বিব্রত রাজ্য বিজেপি নেতারা। তবে শুধু সমর্থনের বার্তাই নয়, বিজেপি সাংসদের আরও একাধিক মন্তব্য নিয়ে দলের মধ্যে শুরু হয়েছে একাধিক জল্পনা।
আরও পড়ুন: রাজ্যে অক্সিজেন পেতে মরিয়া বিজেপি, সিঙ্গুর-তাস খেলে মনজয়ের চেষ্টা শুভেন্দুর
আর কি রাজনীতিতে থাকতে চাইছেন না তিনি? নাকি ক্ষোভবশত দল ছাড়তে পারেন বিজেপি সাংসদ? কারণ, নিজের লেখা চিঠি, যেটা তিনি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন, সেখানে সরাসরি না লিখলেও দলের প্রতি অভিমান ও ক্ষোভই কয়েকটা জায়গায় প্রকাশ পেয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
রাজ্য নেতৃত্ব অবশ্য রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ। গেরুয়া শিবিরে প্রশ্ন উঠেছে, দলের মধ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করলে ছোটখাট নেতাদের বহিষ্কার (Suspend)করা হচ্ছে। তাহলে রূপা গঙ্গোপাধ্যায় প্রকাশ্যেই দলের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ছাড় পাচ্ছেন কেন? রূপা যেহেতু সাংসদ, তাই তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। বিজেপির বঙ্গ শাখার দাবি, যা ব্যবস্থা নেওয়ার কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নেবেন। রাজ্য বিজেপির হাতে কোনও ক্ষমতা নেই। প্রশ্ন তোলা দলের ওই অংশকে এমনটাই বোঝাচ্ছেন রাজ্য নেতারা।
আরও পড়ুন: দীঘায় হবে পুরীর ধাঁচে জগন্নাথ মন্দির, ১২৮ কোটি বরাদ্দ মমতার