ওয়েব ডেস্ক: ফুটবলের নক্ষত্র হলেও চুনী ছিলেন আসলে পরিপূর্ণ খেলোয়াড়। ফুটবল তো ছিলই। একই সঙ্গে তিনি ক্রিকেটেও ছিলেন সমান পারদর্শী। এছাড়া ক্লাবের হয়ে হকি স্টিক হাতেও মাঠে নেমেছেন চুনী। সাউথ ক্লাবে টেনিস খেলতেন নিয়মিত।
১৯৩৮ সালের ১৫ জানুয়ারি তৎকালীন বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির কিশোরগঞ্জে জন্ম চুনী গোস্বামীর জন্ম।১৯৪৬ থেকে ১৯৫৪ পর্যন্ত মোহনবাগানের জুনিয়র দলের স্ট্রাইকার ছিলেন।১৯৫৪ থেকে ১৯৬৮ পর্যন্ত মোহনবাগানের সিনিয়র দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯৬০-১৯৬৪, পাঁচ বছর মোহনবাগানকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘দেশের সর্বকালের সেরা ক্রীড়াবিদ’, চুনী গোস্বামীর প্রয়াণে স্মৃতির সরণি বেয়ে হাঁটলেন ক্রীড়াবিদরা
১৯৫৬ থেকে ১৯৬৪ পর্যন্ত ভারতীয় দলে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। চিনা অলিম্পিক দলের বিরুদ্ধে জাতীয় দলে অভিষেক হয় চুনীর। ৫০টি ম্যাচ খেলেন দেশের জার্সিতে। দেশের হয়ে অলিম্পিক, এশিয়ান গেমস, এশিয়া কাপ ও মারডেকা কাপে প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। দুটি এশিয়া কাপ ও মারডেকা কাপে চুনী দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।১৯৮৬ থেকে ১৯৮৯ পর্যন্ত টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমির ডিরেক্টর ছিলেন। ১৯৯১ থেকে ১৯৯২ পর্যন্ত ভারতীয় ফুটবল দলের কোচ ছিলেন চুনী।
ক্রিকেটার চুনীর জীবন কম বর্ণময় ছিল না। ১৯৬২-৬৩ মরশুম থেকে ১৯৭২-৭৩ পর্যন্ত বাংলা ক্রিকেট দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তিনি।মূলত অল-রাউন্ডার ছিলেন। ডানহাতে ব্যাট করতেন। ডানহাতি মিডিয়াম পেসার ছিলেন।
১৯৬২ সালে এশিয়ার সেরা স্ট্রাইকারের পুরস্কার জেতেন। ১৯৬৩ সালে অর্জুন হন। ১৯৮৩ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হন। ২০০৫ সালে মোহনবাগান রত্ন হন। বাংলার ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন তাঁকে জীবনকৃতি সম্মানে ভূষিত করে। ২০০৫ সালে কলকাতারা শেরিফ নিযুক্ত হন।
আরও পড়ুন: করোনার কারণে সরকারি কর্মচারীদের বেতনে কোপ, অর্ডিন্যান্স জারি করল এই রাজ্যের সরকার