নয়াদিল্লি: দেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের চিহ্নিত করে চিহ্নিত করে তাঁদের করোনা পরীক্ষা করাতে নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে এই নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। রোহিঙ্গাদের অনেকেই তবলিঘি জামাত সদস্যদের সংস্পর্শে এসেছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের একটি সূত্র জানিয়েছে, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে এই মর্মে একটি সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে যে, “রোহিঙ্গাদের শিবিরগুলোতে গিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাঁদের স্ক্রিন করা উচিত এবং তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও গ্রহণ করা দরকার। কেননা এই খবর পাওয়া গেছে যে রোহিঙ্গা মুসলিমরা তাবলিগি জামাতের বিভিন্ন ধর্মীয় জমায়েতে অংশ নিয়েছে । সেই কারণেই তাঁদের মধ্যে অনেকেরই করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে”।জরুরী ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে রাজ্যের পুলিশ প্রধান ও মুখ্য সচিবদের চিঠি দিয়ে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
আরও পড়ুন: চিনের মতো করোনা মৃত্যুর সঠিক তথ্য দিচ্ছে না অনেক দেশই,ইঙ্গিত WHO-র
ওই চিঠিতে হায়দরাবাদ, তেলেঙ্গানা, দিল্লি, পঞ্জাব, জম্মু ও মেওয়াতের শিবিরগুলিতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের চিহ্নিত করার বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।চিঠিতে বলা হয়েছে, “হায়দরাবাদের শিবিরে বসবাসকারী রোহিঙ্গারা মেওয়াতের ইজতেমায় যোগ দিয়েছিল এবং তারপরে তাঁরা নিজামউদ্দিনের মার্কাজেও গিয়েছিল। এছাড়াও শ্রম বিহারে বসবাসকারী রোহিঙ্গারা, শাহীনবাগেও তাবলিগি জমায়েতে যোগ দেয়। তারপরে তাঁরা অনেকেই আর নিজেদের শিবিরে ফিরে আসেনি”।
করোনা বিশ্বজুড়ে প্রাণঘাতী প্রমাণিত হবার পর শুরু হয়েছে দোষারোপের পালা। মার্কিনযুক্তরাষ্ট্র দায়ী করছে চিনকে। চীন দায়ী করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে। কে ভাইরাস ছড়িয়েছে তা নিয়ে সকলে চর্চা করছে। কিন্তু দরকার হল এই ভাইরাস হানা থেকে মুক্তি। ভারতে মুসলিমদের ওপর এই দায় চাপানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে খোলাখুলি মন্তব্য করেন ‘ইহুদি’ প্রফেসর হারারি। তিনি স্পষ্ট জানান আসলে নানা সংকীর্ণ রাজনীতি হচ্ছে করোনা নিয়ে। দরকার ছিল এর বিরুদ্ধে লড়াই করার মত একজন বিশ্বনেতার। কিন্তু তেমন নেতা এখন গোটা বিশ্বে নেই। সে কারণে এমন পরিস্থিতেও বিদ্বেষ প্রসূত দোষারোপ চলছে। বিশেষ কিছু সংবাদ মাধ্যমের ভূমিকাও এখানে অত্যন্ত হতাশাজনক।
আরও পড়ুন: চলছে লকডাউন! ষাঁড়ের শেষকৃত্যে কয়েকশো মানুষের জমায়েত