নয়াদিল্লি: দেশে দ্বিতীয় দফায় লকডাউনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩ মে। তবে ৩ মে-র পরেই লকডাউন যে পুরোপুরি উঠছে না, মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে তার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়ছে দেশে, মে মাসের পর থেকে অগস্ট অবধি আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড সীমায় পৌঁছতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রের পরিসংখ্যানে। এর মধ্যেই দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৩,০৫০।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সকাল ৮টার বুলেটিন অনুযায়ী দেশে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা ২৩,৬৫১। বুধবার সকাল ৮টা অবধি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩১,৩৩২। আজ সেটাই ৩৩ হাজারের গণ্ডি পেরিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত বেড়েছে ১৭১৮ জন।
তবে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মহারাষ্ট্র, গুজরাত ও দিল্লির পরিস্থিতি। মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৯ হাজার ৯১৫। মৃত্যু হয়েছে ৪৩২ জনের। তার পরেই ৪ হাজার ৮২ জন করোনা আক্রান্ত ধরা পড়েছে গুজরাতে। সেখানে মারা গিয়েছেন ১৯৭ জন। দিল্লিতে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ৪৩৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫৬ জনের। মধ্যপ্রদেশে সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ৫৬১ জন। সেখানে মৃত্যু হয়েছে ১২৯ জনের।
আরও পড়ুন: লকডাউনের মধ্যে খুলে গেল কেদারনাথ মন্দির,ভক্তদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, প্রথম পুজো মোদীর নামে
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, এ রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত ৭৫৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। নবান্ন অবশ্য বুধবার জানিয়েছে রাজ্যে সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছেন ৫৫০ জন। রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের।
এই মুহূর্তে দেশের রেড জোনের জেলার সংখ্যা অনেকটা কমে গিয়েছে। এপ্রিলের ২২ তারিখে রেড জোনে ছিল দেশের ১৭০টি জেলা। এখন দেশে.রেড জোনের জেলার সংখ্যা ১২৯টি। অন্যদিকে গ্রিন জোনের জেলার সংখ্যাও কমেছে। ৩২৫ থেকে কমে হয়েছে ৩০৭। অর্থাৎ রেড জোন থেকে বেশ কিছু জেলার অরেঞ্জ জোনে উত্তরণ যেমন হয়েছে তেমন গ্রিন জোন থেকে অরেঞ্জ জোনে নেমে এসেছে বেশ কয়েকটি জেলা। যার ফলে অরেঞ্জ জোনের জেলার সংখ্যা ২০৭ থেকে লাফিয়ে বেড়ে হয়েছে ২৯৭টি।
আরও পড়ুন: ‘অন্যায় করলে হিন্দু-মুসলমান নেই, ক্রাইম ইজ ক্রাইম’: টিকিয়াপাড়া নিয়ে মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রী