পরীক্ষায় ৭২০ নম্বরের মধ্যে পুরো ৭২০ নম্বরই পেলেন এক ছাত্র। তাও আবার মেডিক্যালের সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষার মতো কঠিন পরীক্ষায়? শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। কয়েক লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পুরো ৭২০ নম্বর পেয়ে ওড়িশা (Odisha) থেকে প্রথম ছাত্র হিসেবে NEET পরীক্ষায় শীর্ষস্থান অধিকার করেছেন শোয়েব আফতাব। পরীক্ষার ফল প্রকাশ হতেই শুভেচ্ছার জোয়ারে ভেসে গিয়েছেন তিনি। এমনকী তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন খোদ লোকসভার স্পিকার তথা রাজস্থানের কোটার সাংসদ ওম বিড়লা (Om Birla)।
এবার মেডিক্যাল কলেজে প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য ১৫.৯ লাখ প্রার্থী নথিভুক্ত হয়েছিলেন। পরীক্ষায় বসেছিলেন ১৩.৬ লাখ প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে ৮.৮ লাখ প্রার্থী ছিলেন মহিলা। আয়োজক সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির তরফে জানানো হয়েছে, পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ৭৭১,৫০০ জন।
ফল প্রকাশের পর আফতাব (১৮) জানান, পরীক্ষায় সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন। প্রথম একশোর মধ্যে থাকবেন বলে আশাও ছিল। তবে তিনিই যে প্রথম হবেন, তা ভাবতেও পারেননি। তিনি বলেন, ‘যখন অ্যানসার কি’র সঙ্গে আমার স্কোর দেখলাম এবং যখন দেখি পুরো নম্বর পেয়েছি, তখন থেকেই সারা ভারতে প্রথম হওয়ার বিষয়ে ভাবতে থাকি।’
আরও পড়ুন: গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউয়ের বহুতলে বিধ্বংসী আগুন, মৃত এক কিশোর–সহ ২, আতঙ্কে স্থানীয়রা
आज मेरे साथ शोएब आफताब लोकसभा अध्यक्ष @ombirlakota जी से मिला। बिरला जी ने शोएब एवं एलन परिवार को बधाई दी।#ALLENKota क्लासरूम स्टूडेंट शोएब #NTA द्वारा जारी रिकॉर्डेड रेस्पॉन्स व आंसर-की के आधार पर #NEET2020 में 720 में से 720 अंक प्राप्त करने जा रहा है#ThePerfectScoreIsPossible pic.twitter.com/Vugbag9yk1
— Naveen Maheshwari (@Naveen_ALLEN) October 15, 2020
চিকিৎসক হওয়ার লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরেই প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এতটাই সেই লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন যে কোটা থেকে আড়াই বছর ওড়িশার বাড়িতে ফেরেননি। আফতাব বলেন, ‘আমার বাবা বাড়িতে আসার জন্য একাধিকবার বলেছিলেন। দীপাবলি ও ইদের সময় ছুটি পেয়েছিলেন। কিন্তু কোটায় থেকে গিয়েছিলাম, যাতে আমার পড়াশোনায় কোনও ব্যাঘাত না ঘটে। করোনা (করোনাভাইরাস) লকডাউনের সময়ও আমি এখানে ছিলাম। আমার সঙ্গে মা থাকতেন। তাই খাবারের কোনও অসুবিধা হয়নি। বোর্ড পরীক্ষার পর নিটের পুরো পাঠ্যক্রম আবারও শেষ করার বেশি সময় থাকে না। তাই আমি লকডাউনের পাঁচ মাস ভালোভাবে ব্যবহার করেছি। আমি একাধিকবার বিভিন্ন বিষয়গুলি পড়েছি, যাতে কোনও কিছু বাদ পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা না থাকে।’
শোয়েব জানান, এইমস থেকে এমবিবিএস পড়ে হৃদরোগের বিশেষজ্ঞ হতে চান তিনি। বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত যে রোগের কোনও চিকিৎসার প্রক্রিয়া উদ্ভাবন হয়নি, সেই ক্ষেত্রে আমি গবেষণা করতে চাই।’
আরও পড়ুন: গোল গোল চোখে অবাক চাহনি…ইউভানের ১ মাস বয়সের ছবি প্রকাশ্যে আনলেন রাজ