করোনা সংক্রমণের ভয়ে মানুষ বারবার স্যানিটাইজার ব্যবহার করছেন, বারবার হাত ধুচ্ছেন লিকুইড সাবান দিয়ে। তার জেরে শুকিয়ে যাচ্ছে চামড়া। বাড়ছে চুলকুনি। আগামী দিনে চামড়ার সমসসায় ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন ত্বক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। দীর্ঘক্ষণ মাস্ক পরে থাকার কারণে অনেকেরই গালের চামড়ায় ফুসকুড়ি বের হচ্ছে। যা সবর্দায় চুলকোচ্ছে এবং জ্বালা করছে।
সব থেকে মারাত্মক অবস্থা স্বাস্থকর্মীদের। তারা অনেকেই ৮ থেকে ১০ ঘন্টা মাস্ক ও গ্লাভস পড়ে থাকে। সব থেকে মারাত্মক অবস্থা স্বাস্থকর্মীদের। তারা অনেকেই ৮ থেকে ১০ ঘন্টা মাস্ক ও গ্লাভস পড়ে থাকে। প্রায় গোটা হপ্তা জুড়ে তাদের কাজ। ফলে ইনফেকশনটা তারা সারাতে পারে না।
আরও পড়ুন : সবথেকে কার্যকর ও ‘খাঁটি’ হ্যান্ড স্যানিটাইজার কী করে চিনবেন? জেনে নিন উপায়
বার বার হাত ধোয়া এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করার কারণে অনেকেরই হাতের চামড়া উঠে যাচ্ছে। স্কিন সেনসিটিভ হয়ে পড়ছে। অথচ পরিস্থিতি যা তাতে এর থেকে এই মুহূর্তে উপায় নেই। স্বাস্থ্য কর্মীরা অনেকেই এই সমস্যা ভুগছেন। নতুন আলুর খোসার মত চামড়া উঠে যাচ্ছে।
বহু চিকিৎসক বলছেন অযথা হ্যান্ডস্যানিটাইজার ব্যবহারের ফলে চামড়ার ক্ষতি হচ্ছে। এক্ষেত্রে জল আর সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নেওয়া যথেষ্ট। কিন্তু সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে অতিরিক্ত হ্যান্ডস্যানিটাইজার ব্যাবহার করছেন। যা চামড়ার ক্ষতি করছে।
যতটা সম্ভব কেমিক্যাল বেসড সুগন্ধি এড়িয়ে চলুন। অথচ সাবান এবং হ্যান্ড সানিটাইজারে সুগন্ধি থাকবেই। সুগন্ধি বেশি থাকলে এমনিতেই এলার্জির সম্ভাবনা বাড়ে। তাই এত যথা সম্ভব এরিয়ায় যাওয়া বিবেচনার কাজ। মত চিকিৎসকদের।
প্রয়োজন হলে তবে N9 গ্লাভস পড়বেন। অপ্রয়োজনে নয়। মুশকিল হল যে মিডিয়া করোনা নিয়ে চেতনা জাগাতে গিয়ে আসলে আতঙ্ক বিক্রি করেছে। সে কারণে বাজারে মাস্ক এবং স্যানিটাইজার বাড়তি কাটতি হলেও, সামাজিক ভরসাম্য নষ্ট হয়েছে। তাই বাড়াবাড়ি নয়. মেনে চলুন স্বাস্থবিধি।
আরও পড়ুন : শারীরিক মিলনের আনন্দ সম্পূর্ণভাবে উপভোগ করতে চান? তাহলে বশে রাখুন মনকে