বিধায়ক ও সাংসদদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল বিধায়ক (MLA) ও সাংসদদের (MP) বিরুদ্ধে মামলা তুলতে হলে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের হাই কোর্টের (High Court) অনুমতি নিতেই হবে। কোনও রাজ্যের সরকার যাতে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দলীয় প্রতিনিধিকে বাঁচানোর চেষ্টা না করতে পারে সেইদিকে লক্ষ্য রেখেই এই পদক্ষেপ করল সুপ্রিম কোর্ট।
অনেক রাজ্যেই শাসক দল জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে আদালত থেকে মামলা প্রত্যাহার করে নেয়৷ ক্ষমতার অপপ্রয়োগ বন্ধ করতেই সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ৷ শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, হাইকোর্টের অনুমতি ছাড়া সাংসদ-বিধায়কদের বিরুদ্ধে চলা মামলা প্রত্যাহার করা যাবে না৷
এর আগে ২০২০ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি এক রায়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, প্রার্থী নির্বাচিত করার ৪৮ ঘণ্টা থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলিকে প্রার্থী সম্পর্কে বিশদ তথ্য সংবাদপত্রে প্রকাশ করতে হবে। অপরাধ-যোগ থাকা সত্ত্বেও কেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে প্রার্থী হিসেবে বাছা হল, তা জানিয়ে রাজনৈতিক দলগুলিকে নিজেদের ওয়েবসাইটে তথ্য প্রকাশ করতে হবে। তবে সেই নির্দেশ মানা হচ্ছিল না বলে রাজনৈতিক দলগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে।
আরও পড়ুন: বন্যায় ডুবেছে কমপক্ষে ৩৫৭ টি গ্রাম, ভেসে গেল বারাণসীর ঘাট -শ্মশানও, চরম দুর্দশা যোগীরাজ্যে
এই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করা হয় একটি পিটিশন। সেই মামলার প্রেক্ষিতে এদিন শুনানি চলাকালীন সুপ্রিম কর্ট জানিয়ে দেয়, প্রার্থীর অবরাধ-যোগের বিষয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জানাতে হবে রাজনৈতিক দলগুলিকে। জাতীয় বা আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল, দুইয়ের ক্ষেত্রেই এই নিয়ম বলবত হবে বলে জানায় সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
বিচারপতি আরএফ নরিম্যান ও বিআর গাভাইয়ের বেঞ্চের নির্দেশ, সমস্ত রাজনৈতিক দলকেই ব্যাখ্যা করতে হবে কেন তারা ফৌজদারি মামলায় জড়িত ব্যক্তিদের তারা প্রার্থী করছে। সেই সঙ্গে সেই সমস্ত মামলার বিবরণ দলীয় ওয়েবসাইটে তুলে দিতে হবে। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিতে হবে তাঁদের প্রার্থী করার পিছনে কী কারণ রয়েছে।