Cooking Oil May Become Costlier Due to Russia-Ukraine War. Know Why

Russia-Ukraine Conflict: যুদ্ধের জের ভারতেও, ব্যাপক দাম বাড়তে চলেছে রান্নার তেলের দাম

রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধের দামামা বেজে উঠতেই নড়েচড়ে বসেছে ভারত। বোমার আগুন গায়ে না লাগলেও, যুদ্ধের দরুন বাজারে আগুন লাগার আশঙ্কা কিন্তু ষোলো আনা। কারণ, স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোজ্য তেল হিসেবে বেড়েছে সানফ্লাওয়ার অয়েল বা সূর্যমুখী তেলের চাহিদা। আর সেই তেলের অধিকাংশটাই আমদানি করা হয় ইউক্রেন থেকে।

২০২১ সালের তথ্য জানাচ্ছে, ভারত প্রায় ১.৮৯ মিলিয়ন টন সূর্যমুখী তেল আমদানি করেছে, যার ৭৪ শতাংশই এসেছে ইউক্রেন থেকে। হ্যাঁ, কেবল ভারত নয়, গোটা পৃথিবীর কাছেই সূর্যমুখী তেল উৎপাদনের সবচেয়ে বড় উৎস ইউক্রেন। সারা দেশ জুড়েই ছড়িয়ে রয়েছে সূর্যমুখী ফুলের খেত। এই ফুল সে দেশের জাতীয় ফুলের মর্যাদাও পেয়েছে।

দাম বাড়তে চলেছে সোয়াবিন তেলেরও। সুযোগ বুঝে যুদ্ধের দোহাই দিয়ে কালোবাজারি শুরু হওয়ার আশঙ্কা দেখছে ব্যবসায়ীরা।তবে, শুধু সোয়াবিন তেল ও সানফ্লাওয়ার তেলই নয়, দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে একাধিক জিনিসের। রাশিয়া (Russia) বিশ্বের বৃহত্তম অপরিশোধিত তেলের (Crude Oil) উৎপাদক দেশগুলির মধ্যে অন্যতম৷ ফলে আগামী কয়েদিনে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল পিছু আকাশছোঁয়া হতে পারে। যার প্রভাব পড়তে পারে গোটা বিশ্বের অর্থনীতির উপর।

বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সিএনজি, পিএনজি-র মতো বাড়িতে ব্যবহৃত জ্বালানির দামও অনেকটাই বাড়তে পারে৷ আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়লেই ভারতে পেট্রোল, ডিজেলের দাম চড়চড়িয়ে বেড়েছে৷ ফলে দাম বাড়তে পারে পেট্রোল ডিজেলের।রাশিয়া বিশ্বের বৃহত্তম গম রপ্তানিকারী দেশ৷ ইউক্রেন রয়েছে চার নম্বরে৷ ইউক্রেন থেকে বার্লিও গোটা বিশ্বে রফতানি করা হয়। ফলে এই যুদ্ধের ফলে গোটা বিশ্বে খাদ্যদ্রব্যেরও মূল্যবৃদ্ধি হতে পারে।