J P Nadda: BJP ignores EC notice, JP Nadda echoes PM Modi's remark, says ‘Congress plots to transfer SC-ST rights to Muslims’

J P Nadda: কমিশনকে ‘ডোন্ট কেয়ার’, ‘মুসলিম বিদ্বেষ’ নিয়ে এবার আসরে নাড্ডা-শাহ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কংগ্রেসের সমালোচনা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভাষণে বিধি ভেঙেছেন অভিযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডাকে নোটিস ধরিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই নোটিসের জবাব দেওয়ার আগে একই ইস্যুতে কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেন এবার জেপি নাড্ডাই। শুক্রবার বিজেপি দলীয় সভাপতি নাড্ডার একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। তাতে নাড্ডা বলেছেন, ‘কংগ্রেসের গোপন এজেন্ডা হল গরিব মানুষের ধন-সম্পত্তি কেড়ে নিয়ে মুসলিমদের মধ্যে বণ্টন করে দেওয়া।’

শুক্রবার মুম্বইয়ে নাড্ডা বলেন, ‘‘কংগ্রেস এবং তাদের ‘ইন্ডি’ (‘ইন্ডিয়া) জোটের গোপন উদ্দেশ্য হল তফসিলি জাতি-জনজাতি (এসসি-এসটি) এবং অন্যান্য অনগ্রসরদের (ওবিসি) অধিকার কেড়ে নিয়ে তা মুসলিমদের দিয়ে দেওয়া। ওঁদের প্রধানমন্ত্রী মনমোহনই তো বলেছিলেন, ‘দেশের সম্পদের উপর প্রথম অধিকার মুসলিমদের’। আমাদের প্রধানমন্ত্রী মোদীজি কিন্তু দেশের সম্পদের উপর গরিবদের অগ্রাধিকারের কথা বলেন।’’

প্রসঙ্গত, ভোটের দফা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফিকে হচ্ছে উন্নয়নের প্রচার। ‘মোদি গ্যারান্টি’ উধাও। বড় হয়েছে উঠছে রামলালার মন্দির এবং হিন্দু-মুসলিম রাজনীতি। প্রথম দফার ভোটের আগে মোদী-সহ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব সরকারের কাজ এবং উন্নয়নের কথা বললেও দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণের আগে থেকেই হিন্দু-মুসলমান বিভাজনের কথা বলে মেরুকরণের পুরনো ‘অস্ত্র’ ব্যবহার শুরু করেছেন।

গত রবিবার মোদী রাজস্থানের বাঁশওয়াড়ায় বিজেপির সভায় বলেন, ‘‘প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ অতীতে বলেছিলেন, দেশের সম্পদে সর্বাগ্রে অধিকার মুসলিমদের। সেই কারণেই সমীক্ষা করার পরিকল্পনা নিয়েছে কংগ্রেস। যাতে দেশবাসীর কষ্টার্জিত অর্থ মুসলিম ও অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া যায়।’’ এর পরে সোমবার উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেসের নজর আপনার সম্পত্তির উপরে রয়েছে। ক্ষমতায় এলে এরা মা-বোনেদের মঙ্গলসূত্র ছিনিয়ে নেবে। কাদের বিলিয়ে দেবে, তা আপনারা জানেন।’’

যদিও মনমোহন প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বলেছিলেন, ‘‘দেশের সম্পদে অগ্রাধিকার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীগুলির।’’ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহের বক্তৃতাতেও এসেছে মুসলিম প্রসঙ্গ। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে নিশানা করে তিনি বলেছেন, ‘‘আপনারা দেশে সংবিধানের পরিবর্তে শরিয়তের শাসন চালু করতে চান কি না, তার স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিন।’’ সম্প্রতি বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি সমীক্ষায় জানানো হয়েছে, মোদীর জমানায় দেশে ধনী-গরিবের অসাম্য বেড়েছে। দেশের সম্পদ মুষ্টিমেয় কয়েক জনের হাতে কুক্ষিগত হয়েছে। কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের অভিযোগ, আমজনতার মধ্যে এ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে বুঝতে পেরেই মোদী এবং তাঁর দলের নেতারা মেরুকরণের পথ নিয়েছেন।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest