লক্ষদ্বীপের প্রশাসকের সমালোচনা করায় দেশদ্রোহের মামলা দায়ের হয়েছে চলচ্চিত্র পরিচালক আয়েশা সুলতানার বিরুদ্ধে। এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ ‘মিথ্যে’ ও ‘অনৈতিক’ বলে দাবি করে বিজেপি ছাড়লেন দলের একাধিক নেতা। তাঁদের মধ্যে দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ মুল্লিপুঝাও রয়েছেন।
আয়েশার বিরুদ্ধে অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার এবং লাক্ষাদ্বীপের প্রশাসক প্রফুল প্যাটেলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তিনি। সেই মর্মেই লাক্ষাদ্বীপে জন্ম নেওয়া এই পরিচালক সুলতানার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদোহিতার অভিযোগ এনে এফআইআর দায়ের করা হয়। শুধু তাই নয়, অভিযোগকারী সংবাদমাধ্যমে আলোচনার সময় সুলতানার মন্তব্যকে উদ্ধৃত করে বলেন, তিনি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসক প্রফুল্ল প্যাটেলকে করোনা ভাইরাসের মত ‘জৈব অস্ত্র’ হিসাবে উল্লেখ করেছিলেন। আর তার ফলে নাকি দ্বীপপুঞ্জে গণবিক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এরপরই পদত্যাগ করতে শুরু করেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। তাঁরা বলেন, সুলতানার বিরুদ্ধে হাজির এই অভিযোগ ভিত্তিহীন ও দ্বীপের নীতি বিরোধী।
লাক্ষাদ্বীপের বিজেপি সভাপতি আব্দুল খাদেরকে একটি চিঠি লিখে নিজেদের পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন নেতারা। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘যে সময়ে লাক্ষাদ্বীপের প্রশাসক প্রফুল্ল পটেলের অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিজেপি কর্মীরা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, সেই সময় আপনারা আয়েশার বিরুদ্ধে মিথ্যে ও অনৈতিক অভিযোগ আনছেন। এতে মেয়েটির ভবিষ্যৎ ও তাঁর পরিবারের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে। তাই আমরা পদত্যাগ করছি। লাক্ষাদ্বীপের মানুষের সঙ্গে মিলে আমাদের প্রতিবাদ জারি থাকবে।’
আরও পড়ুন: Bank Holidays: আগামী কয়েকদিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক পরিষেবা, দেখে নিন তালিকা
আয়েশার বক্তব্য ছিল, অতিমারির প্রথম ঢেউয়ে লাক্ষাদ্বীপে একটিও সংক্রমণ ধরা পড়েনি। কিন্তু গত ডিসেম্বরে প্রফুল্ল পটেল নতুন প্রশাসক হয়ে আসার পর থেকেই একের পর এক তুঘলকি আইন-বিধি চালু হচ্ছে লাক্ষাদ্বীপে। যার জেরে দ্বিতীয় ঢেউয়ে ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রমণ। তাঁর অভিযোগ, লাক্ষাদ্বীপের মানুষদের উপর আঘাত হানতে করোনাভাইরাসকেই ‘জৈব অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করছে কেন্দ্র।
টিভি চ্যানেলের বিতর্কসভায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এমন মন্তব্যের অভিযোগে চলচ্চিত্র পরিচালক আয়েশার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা দায়ের করেছে বিজেপি-র লাক্ষাদ্বীপ শাখা। আয়েশার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা ছাড়াও বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের অভিযোগ আনা হয়েছে। এখন, এই পদক্ষেপের বিরোধিতা দেখা গেল বিজেপি-র অন্দরেই।
আরও পড়ুন: GST কমলেও একেবারে মুক্ত হল না কোভিড পথ্য ও টিকা, ছাড় ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ওষুধে