পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ভিতরে এক ১২ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মন্দিরের এক পুরোহিত ওই ঘটনায় জড়িত বলে নিজের বয়ানে জানিয়েছে ওই কিশোরী। পুলিশ ওই পুরোহিতকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, নির্যাতিতা নাবালিকা হায়দরাবাদের বাসিন্দা। পরিবারের সঙ্গে মন্দিরে গিয়েছিল সে। সন্ধ্যেবেলা পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের অন্তর্গত বামন মন্দিরে একা প্রার্থনা করছিল নির্যাতিতা। তখন মেয়েটিকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত পুরোহিত। ঘটনার পর নাবালিকাকে চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করলে মন্দির থেকে বেরিয়ে আসেন পরিবারের সদস্যরা। মাকে গোটা ঘটনা খুলে বলে সে। সঙ্গে সঙ্গে সিংহদ্ধার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। ওই পুরোহিতকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
শুক্রবার ওই কিশোরীও বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নিজের হেনস্থার ঘটনার বিবরণ দিয়ে বয়ান নথিভুক্ত করায়। তার অভিযোগের ভিত্তিতেই শনিবার ওই পুরোহিতকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গোটা ঘটনায় শিউরে উঠেছে গোটা দেশ। পরিবারের সদস্যরা ফাঁসির দাবি করেছেন। পুরীর মন্দির কলঙ্কিত হল বলে অনেকে বলছেন। অভিযুক্ত পুরোহিতকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। মেয়েটির অবস্থা সংকটজনক বলেই হাসপাতাল সূত্রে খবর।
উল্লেখ্য, মন্দিরের পূজারী বা পুরোহিতের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এ দেশে নতুন নয়। কয়েকদিন আগেই দিল্লির ক্যান্টমেন্টে এক কিশোরীকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ (Rape) ও হত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে অন্যতম ছিল এক পুরোহিত। এমনই একটি মামলায় মন্দিরের পূজারীর পৌরহিত্য নিয়ে প্রশ্ন তোলে কেরাল হাইকোর্ট এক কিশোরীকে তার দুই বোনের সামনে দিনের পর দিন ধর্ষণ ও নৃশংস অত্যাচারের ঘটনায় অভিযোগ ওঠে এক পূজারীর বিরুদ্ধে। সেই মামলায় বিচারপতি বলেন, ‘কোন দেবতা গ্রহণ করেন এমন পুরোহিতের পুজো!’ পকসো আইনে মামলা হয় ওই পুরোহিতের বিরুদ্ধে। এরপর তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত।