নয়াদিল্লি: নয়া এফডিআই নীতি নিয়ে চিনের (China) সমালোচনার জবাব দিল ভারত। দেশের (India) নয়া বিদেশি বিনিয়োগ নীতিটি (FDI Rules) মোটেই ডব্লিউটিও-র চুক্তি লঙ্ঘন করেনি, সাফ জানানো হল বিদেশমন্ত্রকের তরফে।
শনিবার ভারত সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রকের তরফে একটি প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল, ‘‘ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত রয়েছে, এমন দেশের কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা ভারতীয় কোনও সংস্থায় বিনিয়োগ করতে চাইলে সরকারের মাধ্যমেই তা করতে হবে। সরাসরি দুই সংস্থার মধ্যে চুক্তির ভিত্তিতে বিনিয়োগ করা যাবে না।’’ আগে এই নিয়ম কার্যকর ছিল শুধুমাত্র বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের ক্ষেত্রে। কিন্তু নয়া এই সিদ্ধান্তের ফলে তার আওতায় পড়ে গিয়েছে চিন, নেপাল, ভুটান, মায়ানমারও।
আরও পড়ুন: জলের চেয়েও সস্তা তেল! করোনার মারে টালমাটাল জ্বালানির বাজার
আর এতেই গোঁসা হয়েছে বেজিংয়ের। সোমবার চিনা দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘ভারত সরকার বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যে অতিরিক্ত বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, তা ডব্লিউটিও-র বিভেদহীন নীতির বিরুদ্ধে। কোনও একটি নির্দিষ্ট দেশের উপর এ ভাবে বাধার সৃষ্টি করা যায় না। এটা বাণিজ্য ও বিনিয়োগের স্বাধীনতার উপরেও হস্তক্ষেপ।’’ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জিও জানিয়েছে শি জিংপিং সরকার। দূতাবাসের বক্তব্য, ‘‘আমরা আশা করি এই বিভেদমূলক আচরণ পুনর্বিবেচনা করে সব দেশের ক্ষেত্রে একই নিয়ম কার্যকর করা হবে। খুলে দেওয়া হবে উন্মুক্ত, স্বচ্ছ ও সামঞ্জস্যপূর্ণ বিনিয়োগের পরিবেশ।’’
মঙ্গলবার ভারত সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের কোনও নীতি বা নিয়ম ভঙ্গ করা হচ্ছে না নতুন এই নির্দেশিকা অনুযায়ী। ভারতের বক্তব্য, কোনও দেশের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকেই বিনিয়োগ করা থেকে আটকানো হচ্ছে না নতুন নীতিতে। কেবল নতুন নীতি অনুযায়ী সরকারের থেকে অনুমতি নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এটা কোনও ভাবেই বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নীতি বিরুদ্ধ নয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চিনকে আটকাতেই এই নতুন নীতি আনল ভারত। কয়েকদিন আগেই চিনের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের ১.১ শতাংশ শেয়ার কিনে নেয়। এরপরই নড়চড়ে বসেছিল কেন্দ্র।করোনা সংক্রমণের দরুন ধুঁকতে থাকা দেশীয় সংস্থাগুলোর সুবিধাবাদী অধিগ্রহণে রাশ টানতে এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে ব্যাবসায়িক মহল।
আরও পড়ুন: এবার রাষ্ট্রপতি ভবনেও করোনা হানা, আইসোলেশনে ১২৫টি পরিবার