শিক্ষক নিয়োগ মামলায় ‘সুপ্রিম’ ধাক্কা খেল রাজ্য। সোমবার মামলার শুনানিতে নতুন করে টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট (TET) নেওয়ার নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত। রাজ্যে D.Led উত্তীর্ণরা, যাঁরা ২০১৭ সালের TET পরীক্ষায় বসতে পারেননি, তাঁদের জন্যই নতুন করে TET পরীক্ষা নিতে হবে বলে এদিন জানায় বিচারপতি আব্দুর নাজির ও বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারির ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুন : আইপিএলে নয়া ২ দলের অন্তর্ভুক্তি, মেগা নিলাম নিয়ে খসড়া তৈরি! কী জানাল BCCI
এদিন মামলার শুনানিতে TET পরীক্ষা নেওয়ার দিনক্ষণও বেঁধে দিল দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। জানানো হয়, ২০২২ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে পরীক্ষা নিতে হবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে। মামলাকারীদের বক্তব্য, TET ২০১৭ নেওয়ার নোটিফিকেশন হয়েছিল ২০১৭ সালে। ফর্ম ফিলাপের প্রক্রিয়াও শেষ হয়ে যায় তখনই। কিন্তু পরীক্ষাটা নেওয়া হয় ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে। মাঝে কোনও পরীক্ষা হয়নি। অথচ এনসিটিই গাইডলাইন মেনে ন্যূনতম বছরে একবার এই পরীক্ষা নিতে হবে। তবে যাঁরা D.Led পাশ করেছেন, তাঁদের বয়সের বিষয়টা মাথায় রাখা হোক। অর্থাৎ এই ৪ বছরে যাঁদের প্রশিক্ষণ হয়েছিল, তাঁদেরও পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হোক। কারণ পরীক্ষা না নেওয়াটা বোর্ডেরই ব্যর্থতা। মামলাকারীদের যুক্তি শোনার পরই এদিন নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
২০১৭ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুয়ায়ী, এ বছর ৩১ জানুয়ারি রাজ্যে প্রাথমিকের TET পরীক্ষা দিয়েছিলেন আড়াই লক্ষ চাকরিপ্রার্থী। তার আগে প্রাথমিকের টেট পরীক্ষায় বসার জন্য কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন ২০১৮-২০ D.EL.ED ব্যাচের বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ সেই ব্যাচের মামলাকারী পরীক্ষার্থীদের পক্ষে রায় দেন। কিন্তু তারপর বোর্ড ডিভিশন বেঞ্চে যায়। সৌমেন সেন ও সুগত ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে হেরে যায় মামলাকারীরা। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হন বেশকিছু পরীক্ষার্থী। সেই মামলাতেই ধাক্কা খেল রাজ্য।
আরও পড়ুন : করিনার হাত ধরেই প্রকাশ্যে সইফের ‘ভূত পুলিশ’ ছবির পোস্টার, জেনে নিন মুক্তির তারিখ