পুরনির্বাচনের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে কোর কমিটির বৈঠক শুরু হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাস ভবনে৷ উপস্থিত রয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী-সহ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতারা। এ ছাড়াও উপস্থিত রয়েছেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর ৷ সূত্রের দাবি, কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতেই এই বৈঠক। আজকেই চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে।
কলকাতা পুরভোটে রাজ্যের মন্ত্রী এবং কলকাতার প্রাক্তন মেয়র ফিরহাদ হাকিমের পুরভোটে টিকিট না পাওয়া একরকম নিশ্চিত। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চূড়ান্ত অনুমোদন দিলে দলের সেই সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়বে। তবে ফিরহাদকে টিকিট না-দিলেও তাঁর ওয়ার্ডটিতে ফিরহাদ-কন্যা প্রিয়দর্শিনী হাকিমকে টিকিট দেওয়া নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। তৃণমূলের এক শীর্ষনেতা শুক্রবার দুপুরে বলেন, ‘‘এ বার দলের নেতাদের দ্বিতীয় প্রজন্মকে সামনে নিয়ে আসার সময় এসেছে। পুরভোট থেকেই তা শুরু করার কথা। সে ক্ষেত্রে ফিরহাদের জায়গায় তাঁর কন্যা প্রিয়দর্শিনীকে টিকিট দিলে তা অপ্রত্যাশিত হবে না। একই ভাবে অন্য কয়েকজন নেতার বদলেও তাঁদের পরবর্তী তরুণ প্রজন্মকে টিকিট দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। তবে সবই নির্ভর করছে নেত্রীর চূড়ান্ত সিলমোহরের উপর।’’
ফিরহাদের পাশাপাশিই কলকাতার প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, দুই প্রাক্তন মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার এবং দেবব্রত মজুমদারেকেও টিকিট না-দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। কারণ, এঁরা প্রত্যেকেই বিধায়ক। আর তৃণমূলে এখন ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি কঠোর ভাবে বলবৎ করা হচ্ছে। বিধানসভা ভোটের পর থেকেই ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি নিয়েছে তৃণমূল। সেই যুক্তিতেই টিকিট না-দেওয়ার কথা প্রাক্তন কাউন্সিলর মালা রায় এবং শান্তনু সেনকেও। কারণ, মালা তৃণমূলের লোকসভার সাংসদ। রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু।
কৌতূহল রয়েছে বিজেপি থেকে তৃণমূলে-আসা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ের উপরেও। দলের প্রার্থিতালিকায় তাঁর নাম থাকলে মোটামুটি এটা নিশ্চিত হবে যে, তাঁকে কলকাতার পরবর্তী মেয়র হিসেবে তুলে ধরে পুরভোটের ময়দানে নামছে তৃণমূল। মেয়র পদে দৌড়ে বাবুল এগিয়ে রয়েছেন বলেই খবর।