Mamata calls Somen Mitra's wife Shiksha

সোমেন মিত্রর স্ত্রী শিখাকে Mamata-র ফোন, TMC-তে যোগদানের আহ্বান

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

প্রয়াত সোমেন মিত্রের স্ত্রী শিখাকে ফোন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার ছিল প্রয়াত কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্রর বাৎসরিক। সেই উপলক্ষ্যে তাঁর বাসভবনেই আয়োজিত হয় বাৎসরিকের অনুষ্ঠান। যাবতীয় অনুষ্ঠান শেষে রাতে শিখা মিত্রকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’জনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথাও হয়। গত বছর ৩০ জুলাই প্রয়াত হন সোমেন। তিথি অনুযায়ী ১৭ অগস্ট ছিল তাঁর বাৎসরিকের কাজ। তাঁর প্রয়াণের পরেও মুখ্যমন্ত্রী ফোন করে মিত্র পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে পাশে থাকার কথা জানিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে বাৎসরিক অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।

সূত্রের খবর, এদিন দুপুরে শিখা মিত্রকে (Sikha Mitra) ফোন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি তৃণমূলের ‘বঙ্গ জননী বাহিনী’তে যোগদানের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, কাজের মধ্যে থাকলে মন ও শরীর ভাল থাকবে। তাঁর কথা শুনে শিখা মিত্র জানান, তৃণমূল সাংসদ মালা রায় বাড়িতে আসবেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলার পরই সিদ্ধান্ত নেবেন শিখাদেবী। পাশাপাশি, শিখাদেবী এও জানান, তিনি এখন কংগ্রেসের সদস্য নন। আবার তৃণমূলও ছাড়েননি। প্রসঙ্গত, সদ্যই তৃণমূলে সাংগঠনিক নেতৃত্বে রদলবদল হয়েছে। ‘এক পদ এক ব্যক্তি’ নীতি বাস্তবায়িত করে একাধিক পদে মুখ বদলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। উত্তর কলকাতার জেলা সভাপতির পদে সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলে এসেছেন প্রাক্তন বিধায়ক তাপস রায়। এই পরিস্থিতিতে শিখা মিত্রকে মমতার ফোন বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠল।

আরও পড়ুন: Independence Day: দর্শকশূন্য রেড রোডে পতাকা উত্তোলনে মুখ্যমন্ত্রী, ট্যাবলোয় সাফল্য-খতিয়ান

শিখা বলেন, ‘‘ভোটে জেতার পর জুন মাসেও মুখ্যমন্ত্রী ফোন করে খোঁজখবর নিয়েছিলেন। তখনই তাঁকে আমি জানিয়েছিলাম ১৭ অগস্ট সোমেনবাবুর বাৎসরিকের কথা। তাই সেই দিনেই তিনি আমাকে ফোন করলেন। তাঁর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত কথা হয়েছে।’’ হাজারও ব্যস্ততার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী এমন দিনে ফোন করায় খুশি মিত্র পরিবার। তবে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও, শিখাকে ফোন করেন দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল সাংসদ মালা রায় ও চৌরঙ্গীর বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে ১ জুলাই বিধান ভবনে বিধানচন্দ্র রায়ের জন্মদিনের এক অনুষ্ঠানে চৌরঙ্গীর তৎকালীন বিধায়ক শিখা ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর কাজকর্ম নিয়ে। ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে তৃণমূল ছেড়ে সস্ত্রীক কংগ্রেসে ফিরে আসনে সোমেন। তার আগেই তৃণমূলের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন শিখা। সেই সময় থেকেই তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল না মিত্র পরিবারের। কিন্তু গত বছর সোমেন অসুস্থ হলে খোঁজখবর নেন মুখ্যমন্ত্রী। ফের সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করে। সোমেনের প্রয়াণের পরেও রাজ্য সরকারের সহযোগিতা পেয়েছিলেন তাঁরা।

ফলস্বরূপ ভোটে জয়ের পরেই মুখ্যমন্ত্রী ফোন করেছিলেন শিখাকে। সূত্রের খবর, সোমেন-জায়াকে কোনও সরকারি পদে বসানো হতে পারে। তবে মায়ের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ফোনালাপকে নেহাতই সৌজন্য বলে ব্যাখ্যা করেছেন সোমেন তনয়। তিনি বলেছেন, ‘‘মায়ের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। তাই বাবার বাৎসরিক উপলক্ষে তিনি মাকে ফোন করেছিলেন। এতে অহেতুক রাজনীতি খোঁজা ঠিক নয়।’’

চলতি বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রয়াত কংগ্রেস (Congress) নেতা সোমেন মিত্রের স্ত্রী শিখা মিত্রের নাম চৌরঙ্গী আসন থেকে ঘোষণা করে দিয়েছিল বিজেপি। তার ঠিক আগেই তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। পরে শিখা দেবী সাফ জানিয়ে দেন, বিজেপিতে কোনোদিনই যোগ দেবেন না তিনি। তখনও মিত্র পরিবারের এই সিদ্ধান্তে খুশি ছিল তৃণমূল শিবির।

আরও পড়ুন:  Post Poll Violence: হাই কোর্টের রায়ে অখুশি রাজ্য সরকার, সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ভাবনা

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest