তিন নম্বর রবিনসন স্ট্রিটের ঠিকানা পার্থ দে ছ’মাস ধরে মৃত দিদি এবং দুই কুকুরের দেহ আগলে রেখেছিল৷ ছ’মাস পর সেই দেহ উদ্ধার হয়৷ এবার একই রকম ঘটনা গড়ফায়৷ তিন মাস ধরে বাবার দেহ আগলে রাখলেন ছেলে। আচমকা পুলিশি তল্লাশিতে উদ্ধার বৃদ্ধের কঙ্কাল। গড়ফা থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। বৃদ্ধের ছেলেকে আটক করে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।
জানা গিয়েছে প্রয়াত বৃদ্ধের নাম সংগ্রাম দে। গত ৩ মাস ধরে তাঁর খোঁজ পাচ্ছিলেন না প্রতিবেশীরা। ভাবা পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী সংগ্রামবাবু পাড়ায় অত্যন্ত সক্রিয় ছিলেন। হঠাৎ তিনি গায়েব হয়ে যাওয়ায় উৎকণ্ঠায় ছিলেন এলাকাবাসী।
সম্প্রতি এক প্রতিবেশী সংগ্রামবাবুর খোঁজ নিতে তাঁর বাড়িতে যান। তখন তাঁর ছেলে কৌশিক বলেন, ‘হি ইজ সোশ্যালি ডেড।’ এর পর পুলিশে খবর দেন প্রতিবেশীরা। সোমবার পুলিশ এসে জোর করেই বাড়িতে ঢোকে এর পর দেখা যায় বিছানায় পড়ে রয়েছে সংগ্রামবাবুর দেহাবশেষ। ওই বাড়িতেই থাকেন সংগ্রামবাবুর অসুস্থ স্ত্রী। অসুস্থতার জেরে কথা বলার শক্তি হারিয়েছেন তিনি।
স্থানীয়রা জানান, বিশ্বকর্মা পুজোর সময় শেষবার সংগ্রাম দে’কে দেখা গিয়েছিল। এমনকী কালীপুজোর দু’দিন আগেও তাঁরা বাড়িতে এসেছিলেন। তখন ছেলে কৌশিক দে জানিয়েছিলেন, তাঁর বাবার মৃত্যু হয়েছে। তবে যেহেতু কৌশিক দে মানসিক ভাবে সুস্থ নন, তাই তাঁর কথা অতটা পাত্তা দেননি। তবে সোমবার সন্দেহ হওয়ায় পুলিসে খবর দেওয়া হয়। পুলিসের কাছে কৌশিক দে জানান, তাঁর বাবা তিন মাস আগে মারা গিয়েছেন।
দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, কৌশিক তাঁদের বলেন, বাবা শৌচাগারে পড়ে আঘাত পেয়েছিল। তার পর থেকে তাঁর আর কোনও সাড়াশব্দ পাইনি। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।