‘ছোট ভাই’ রাজীবের বিলম্বিত ‘বোধদয়কে’ স্বাগত ফিরহাদের, তবে কি এবার ঘাসফুলে ফেরা ?

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

রায় পরিবারকে নিয়ে সুর আগেই নরম করেছিলেন তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারা। এ বার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়েও গলা ভিজতে শুরু করল তৃণমূল নেতৃত্বের। ৪৮ ঘণ্টা আগে পর্যন্তও রাজীবের ভোলবদল নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন হাওড়ার তৃণমূল নেতা অরূপ রায়। কিন্তু রাজীবের প্রশ্নে আজকেই কিছুটা অন্য সুর ধরা পড়ল ফিরহাদ হাকিমের কণ্ঠে। রাজীবকে বৃহস্পতিবার ‘ছোট ভাইয়ের’ সঙ্গে তুলনা করেছেন পরিবহন মন্ত্রী। এমনকি, তাঁর ‘বিলম্বিত বোধদয়কে’ স্বাগতও জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন : Sonu Sood: দেশজুড়ে ১৬টি রাজ্যে Oxygen Plant স্থাপন করবেন সোনু

সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এ দিন ফিরহাদকে বলতে শোনা যায়, “আগেই আমি বলেছি রাজীব আমার ছোট ভাইয়ের মতো। কেন ওর এটা হল, কেন ও বিজেপিতে গেল এটা আমার কাছেও খুব বিস্ময়। যাওয়ার আগের দিনও আমি ওঁকে ফোন করেছিলাম। কিন্তু দেরিতে হলেও যদি ওঁর বোধহয় হয় তবে সেটা ভাল লক্ষণ।” যদিও রাজীব ফিরতে চাইলেই তাঁরে দলে ফেরানো হবে কি না এই নিয়ে স্পষ্ট কোনও জবাব দেননি ববি। ‘দল ঠিক করবে’ বলে সিদ্ধান্তভার কার্যত নেত্রীর উপরই ন্যস্ত করেছেন। পাশাপাশি মনে করিয়ে দিয়েছেন, “রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও পর্যন্ত দলে ফেরার আবেদন জানাননি।” একই সঙ্গে নাম না করে বাকি দলত্যাগীদের তাঁর কটাক্ষ, “অনেকে এত নির্ভর করে যে বোধ উদয়ই হয় না।”

ভোট পর্ব সাঙ্গ হওয়ার পর থেকেই রাজীবের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে যে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে, তাতে নতুন করে ঘৃতাহুতি করেছে তাঁর ফেসবুক পোস্ট। গত মঙ্গলবার একটি বিস্ফোরক ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, “সমালোচনা তো অনেক হল….মানুষের বিপুল সমর্থন নিয়ে আসা সরকারের সমালোচনা ও মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতা করতে গিয়ে কথায় কথায় দিল্লি আর ৩৫৬ ধারার জুজু দেখালে বাংলার মানুষ ভালভাবে নেবে না।” এই ফেসবুক পোস্টের পর থেকেই তাঁর ঘর ওয়াপসির সম্ভাবনা দেখতে শুরু করেছেন রাজনীতির কারবারিরা।

দলবদলুদের দলে ফেরানো হবে কি না, সেই বিষয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি। তবে যদি ফেরানো হয়ও, সেক্ষেত্রে কাদের ফেরানো হবে তার একটা ইঙ্গিত আজ স্পষ্টভাবে দিয়েছেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়। শাসকদলের তরফে সাফ করে দেওয়া হয়েছে, যারা দল বদল করলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজনৈতিকভাবে খুব বেশি আক্রমণ করেননি, তাঁদের বিষয়ে ভাবনাচিন্তার অবকাশ রয়েছে। সৌগত রায়ের মতে, যাঁরা যোগাযোগ করছেন তাঁদের দু’টি ভাগে ভাগ করা সম্ভব, হার্ডলাইনার ও সফটলাইনার।

কারা হার্ডলাইনার? ব্যাখ্যা দিয়ে সৌগত বলেছেন, যে সব নেতা দল ছেড়েছেন তো বটেই, সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রকাশ্যে অপমান করেছেন। আর বাকিরা হলেন সফটলাইনার, যাঁরা দল ছাড়লেও নেত্রীকে অপমান করেননি কখনও। আর সেই দুই ভাগের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে উদাহরণ হিসেবে মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারীর নাম উল্লেখ করেন সৌগত রায়। তিনি বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী দল ছেড়ে যাওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে খারাপ ভাষা ব্যবহার করেছেন, কিন্তু মুকুল রায় কখনও নেত্রী সম্পর্কে খারাপ কথা বলেননি।” ঠিক এই প্রসঙ্গেই মনে করাতে হয়, বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি বুকে নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বিধানসভা ত্যাগ করেছিলেন রাজীব। মমতাকেও তিনি সরাসরি আক্রমণের পথে হাঁটেননি। ফলে রাজীবও যে সেই সফটলাইনারদের তালিকাতেই রয়েছেন, তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই রাজনৈতিক মহলে।

আরও পড়ুন : Russia: পুলিশ নাকি মডেল? এই Lock-up Lady -দের রূপে মুগ্ধ নেটদুনিয়া

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest