শনিবার কলকাতার মহারাষ্ট্র ভবন থেকে ইস্তেহার প্রকাশ করল তৃণমূল। এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সুব্রত বক্সি, পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা। বিধানসভা নির্বাচন ও উপ নির্বাচনে জয়ের পর কলকাতার পুরভোট নিয়ে শাসকদল যে বেশ আত্মবিশ্বাসী, তেমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবুও গত কয়েক বছরে শহর কলকাতা জুড়ে যে সমস্ত সমস্যা চোখে পড়েছে সেগুলো যাতে কাঁটা না হয়ে দাঁড়ায়, তার জন্য ইস্তেহারে রয়েছে একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি।
লক্ষ্মীর ভান্ডার, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মতো নির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের লড়াইয়ে নেমেছিল তৃণমূল কংগ্রেস৷ একই ভাবে কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের জন্য নির্দিষ্ট দশ প্রতিশ্রুতি দিয়েই ভোটের লড়াইয়ে নামছে শাসক দল (TMC Manifesto for KMC Elections 2021)৷ যার নাম দেওয়া হয়েছে কলকাতার দশ দিগন্ত৷ এ দিন হাজরায় মহারাষ্ট্র নিবাস হলে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই ইস্তেহার প্রকাশ করা হল৷
তৃণমূল (TMC) অবশ্য একে নির্বাচনী ইস্তেহার বলতে নারাজ৷ বরং কলকাতার উন্নয়নে যে যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, সেগুলিকে আগামী দিনে শহরের উন্নয়নের রূপরেখা বলেই দাবি করা হচ্ছে৷
কী কী প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে ইশতেহারে?
- টালিগঞ্জ, যাদবপুরে জল সমস্যা সমাধান করা হবে।
- গর্তবিহীন কলকাতার রাস্তায় নজর।
- নিকাশি ব্যবস্থায় নজর, ২০০টি অতিরিক্ত পাম্প বসানো হবে যাতে জল না জমে।
- স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা হবে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশেই হবে ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
- ৩০টি ডেঙ্গু নির্ধারণ কেন্দ্র তৈরি হবে।
- পাশাপাশি জোর দেওয়া হয়েছে পার্ক, বাজার এবং গঙ্গার ঘাটগুলি আরও পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন রাখার উপরে৷
- প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিউনিটি হল এবং মহিলাদের জন্য শৌচালয়ও তৈরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফে৷
- স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিরও মানোন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে শাসক দল৷
- শহরবাসীর যাতে সমস্যার কথা সরাসরি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে জানাতে পারেন, তার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা করছে তৃণমূল। ইস্তেহারে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরের অফিসে একটি নিষ্পত্তি সেল তৈরি করা হবে। বাসিন্দাদের কোনও সমস্যা থাকলে তারা সেই অভিযোগ নিয়ে সরাসরি কাউন্সিলরের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন
- পাশাপাশি একটি অ্যাপের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের কথাও বলা হয়েছে ইস্তেহারে। তৃণমূল পুর বোর্ড গঠন করলে একটি অ্যাপ আনা হবে, যার মাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দারা সমস্যার কথা জানাতে পারবেন। ১৪ দিনের মধ্যে সেই সমস্যার সমাধান করা হবে।
এ ছাড়াও শহরের মহিলাদের জন্য নিরাপত্তা, শহরের রাস্তায় সবুজায়ন, কলকাতার সংস্কৃতি ও পর্যটনে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। গৃহহীনদের জন্য যে আশ্রয়স্থল কলকাতায় রয়েছে এই সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে বলেও জানানো হয় এ দিন।