কলকাতা: বিরোধীদের একটানা অভিযোগ, সেই সঙ্গে কেন্দ্রের পাঠানো দলের পরপর চিঠি- অভিযোগ বস্তুত এক, লকডাউন একেবারেই ঠিকঠাক পালন হচ্ছে না কলকাতা-সহ বাংলায়। এমনকী মেটিয়াব্রুজ, রাজাবাজার, খিদিরপুরের মতো এলাকায় কেন লকডাউন ঠিকঠাক বলবৎ করা হচ্ছে না, তা নিয়ে রাজ্য সরকারকে চিঠিও দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কিন্তু একটি সর্বভারতীয় সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের বড় শহরগুলিকে পিছনে ফেলে সফল লকডাউন পালনে সবার আগে রয়েছে কলকাতা। স্বাভাবিকভাবেই এই রিপোর্ট বিরোধীদের দাবিকে কিছুটা হলেও ভোঁতা করে দিয়েছে।
TRA নামক সংস্থার করোনাভাইরাস কনজিউমার ইনসাইটস ২০২০ নামে একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে দেশের ১৬টি বড় শহরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কঠোর লকডাউন কলকাতাতেই হয়েছে। বাসিন্দারা দায়িত্বশীল নাগরিক হিসাবে প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন। তালিকায় মুম্বই, চেন্নাই, হায়দরাবাদ, আহমেদাবাদ, গুয়াহাটি, কোচির মতো শহর রয়েছে। কিন্তু এই শহরগুলির মানুষের থেকে সচেতনতায় অনেক এগিয়ে কলকাতার বাসিন্দারা। সমীক্ষায় এমনটাই প্রকাশ। সমীক্ষার সূচকে কলকাতায় লকডাউন মানা হয়েছে ৮৫ শতাংশ। যা বাকি শহরগুলির থেকে অনেকটাই ভাল।
আরও পড়ুন: দীর্ঘ হচ্ছে করোনার ছায়া! বিশ্বে করোনায় মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ২ লক্ষ, আক্রান্ত ২৯ লাখেরও বেশি
গত ১ মাস ধরে স্বেচ্ছাসেবায় গৃহবন্দী রয়েছেন যেসকল ব্যক্তিরা তাদের অনুভূতি, দৃষ্টিভঙ্গি, উদ্বেগ, ভয় এবং প্রত্যাশা বিবেচনার মাধ্যমে এই সমীক্ষা করা হয়েছে। সচেতনতামূলক ফ্রন্টে এটি ৮৬ শতাংশ নম্বর পেয়েছে এবং বাস্তবায়নের দিক থেকে ৮৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে অন্যান্য শহরের থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে কলকাতা।
প্রায় দিনই রাস্তায় নেমে মানুষকে লকডাউনের প্রয়োজনীয়তা ও সচেতনতার পাঠ দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনদিন উত্তর কলকাতা, কোনদিন দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। গাড়িতে বসেই বলছেন, ‘ভালো থাকতে হলে লকডাউন মেনে চলুন।’ মুখ্যমন্ত্রীর পথে নামা নিয়েও বারবার কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষরা। কিন্তু সর্বভারতীয় সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, প্রশাসনিক চেষ্টাতেই লকডাউন পালনে বাজিমাত করেছে কলকাতা।
আরও পড়ুন: করোনায় আশা দেখাচ্ছে প্লাজমা চিকিৎসা, আগামী সপ্তাহে পরীক্ষা শুরু বাংলাতেও