পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যই অগ্রাধিকার। অভিভাবকরা চাইলে তবেই স্কুলে আসবে পড়ুয়ারা। স্কুলে আসা বাধ্যতামূলক নয়। বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, ‘‘স্কুলে আসা নিয়ে কোনও রকম জোরাজুরি করা হবে না।’’
হাতে আর মাত্র তিনদিন। তারপর রাজ্যে খুলতে চলেছে স্কুল। শুরু হয়ে যাবে জোরকদমে পঠনপাঠন। কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠছে, যদি কিছু পড়ুয়া ভয়ে স্কুলে না আসে তাহলে কী হবে? তাদের হাজিরার কী হবে? এই বিষয়ে আগাম আঁচ করে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘আমি আদালতকে ধন্যবাদ জানাব যে তাঁরা আমাদের এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সদিচ্ছার কথা বুঝতে পেরেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বারবার চেয়েছিলেন যে বাচ্চারা জনজীবনের মূলস্রোতে ফিরে আসুক।’
কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের বাধ্যবাধকতার বিষয়টি কী হবে? ব্রাত্য বসু বলেন, ‘আমাদের দিক থেকে আসতেই হবে (স্কুলে) এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। যার ইচ্ছে হবে আসবে। যাঁদের মনে হবে, তাঁরা বাচ্চাকে পাঠাবেন না (স্কুলে)। কিছু ভীতি কাজ করে। তবে আমরা আমাদের দিক থেকে নিশ্চিত করতে পারি কোভিড পরিস্থিতিতে পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে আমরা যাবতীয় প্রতিষেধক নিয়েছি।’
আগেই রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, ১৬ নভেম্বর থেকে স্কুল খুলবে। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে রাজ্য জানিয়েছিল, আপাতত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস হবে। কিন্তু পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা বলে জনস্বার্থ মামলা হয় হাই কোর্টে। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্ট জানিয়ে দেয়, ১৬ তারিখ থেকে স্কুল খোলায় কোনও বাধা নেই। করোনাবিধি মেনে ক্লাস করাতে হবে।
হাই কোর্টের এই রায়ের ফলে স্কুল খোলায় আর কোনও বাধা রইল না। এর প্রেক্ষিতে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বলে দিলেন, ‘‘পড়ুয়াদের স্কুলে যাওয়া বাধ্যতামূলক নয়। বাবা-মা চাইলে তবেই পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠাবেন।’’