পাক হিন্দু শরণার্থী পরিবারের ১১ জনের মৃত্যু, একই ঘর থেকে উদ্ধার সবার দেহ, চাঞ্চল্য রাজস্থানে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

পাকিস্তান থেকে আগত শরণার্থী পরিবারের ১১ জন সদস্যের দেহ উদ্ধার হল রাজস্থানের যোধপুরে। ২০১৫ সালে এদেশে আসা ওই পরিবারের সদস্যরা গতরাতে লোদাতা আলাভাতা গ্রামের একটি কুঁড়েঘরে শুয়েছিলেন। একজন বাড়ির বাইরে ছিলেন। একমাত্র জীবিত রয়েছেন তিনি।

এই শরণার্থী পরিবারের সকলের একই সঙ্গে কী করে এবং কেন মৃত্যু হল তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। তদন্ত শুরু করেছে রাজস্থান পুলিশ।ওই পরিবারের একমাত্র জীবিত ব্যাক্তির খোঁজ মিলেছে দেচু এলাকার লোড়টা গ্রামে বাড়ির কাছে। সেখানেই বাস ওই পরিবারের। কিন্তু সেই ব্যক্তি পরিবারের বাকি ১১ জনের মৃত্যুর বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন : করোনার বিরুদ্ধে ‘ভাবিজি পাঁপড়’-এর ‘টোটকা’ দেওয়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কোভিড পজিটিভ

যোধপুর গ্রামীণের পুলিশ সুপার রাহুল বারহাত জানিয়েছেন, রবিবার সকাল ১০ টা নাগাদ কেওয়ালরাম (৩৫) নামে পরিবারের সদস্য পুলিশে খবর দেন। তিনি জানান, সকালে ঘরের মধ্যে ঢুকে দেখেন পরিবারের বাকি সদস্যরা ঘুমোচ্ছেন এবং তাঁরা কোনওরকম নড়াচড়া করছেন না। তা দেখে আত্মীয়দের খবর দেন কেওয়ালরাম। ১১ জনেরই মৃত্যু হয়েছে বুঝতে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, মৃতেরা ইঁদুরের বিষ খেয়েছেন। কারণ মেঝেতে ইঁদুরের বিষের (কৌটো) পাওয়া গিয়েছে। তবে গতরাতে খাবারে কেউ বিষ মিশিয়ে দিয়েছেন, সেই সম্ভাবনাও আছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করা হয়েছে। তবে পুলিশি তদন্তকে বিভ্রান্ত করতেও সুইসাইড নোট রাখা হতে পারে। মৃতদের দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি।’

সব ক’টি দেহই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ফরেসন্সিক বিশেষজ্ঞরাও মৃত্যুর কারণ খুঁজছেন। যেই ফার্ম থেকে মৃতদের উদ্ধার করা হয়েছে সেখানে পুলিশ কুকুর এনেও তল্লাশি চালানো হয়। তবে তেমন কিছু নজরে পরেনি পুলিশের। এটা কোনও পারিবারিক গোলমালের জের হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এখন পরিবারের একমাত্র জীবিত সদস্যকে জেরা করে কারণ খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

আরও পড়ুন : পদ্মপার্টিতে ফের ভাঙন, বারুইপুরে ৪০০ বিজেপি কর্মী যোগ দিল তৃণমূলে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest