শেখার কোন অন্ত নেই। অনেক কিছু শেখা যায়, নিজেকে বানিয়ে তোলা যায় পারদর্শী। কিন্তু কখনো কি প্রেম শেখার কথা ভেবেছেন?হ্যাঁ তরুণ-তরুণীদের প্রেম শেখাতে এসেছেন লাভ গুরু মটুকনাথ চৌধুরী। তিনি মূলত একজন অধ্যাপক। ভাগলপুর জেলায় তিনি খুলতে চাইছেন নিজেরই একটা প্রেম স্কুল। যার নাম হবে ‘অশো ইন্টারন্যাশনাল স্কুল’(Osho International School)।
জানা যাচ্ছে, এই স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের প্রেমের শিক্ষা দেবেন মাস্টারমশাই। পাশাপাশি দেওয়া হবে ভৌতিক, আধ্যাত্মিক ও আত্মিক বিষয়ক বিভিন্ন পাঠ।যদিও এই ঘোষণা শুনে কার্যতই চোখ কপালে ওঠার জোগাড় হয়েছে নেটিজেনদের। জানা যাচ্ছে এপ্রিলেই নাকি খুলে যাবে ভালোবাসার এই বিদ্যালয়। প্রেমের পাঠশালা প্রসঙ্গে মাস্টারমশাই জানান, ‘লোকে আমাকে লাভ গুরু বলে কিন্তু আমি অশোর মতো মহান লাভ গুরু নয়। আমি সবকিছু উনার থেকেই শিখেছি। তাই উনার নামেই বিদ্যালয় খুলব।’ দেশ- বিদেশের ছাত্র সেখানে ভর্তি হতে পারবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: রাজ্যের থেকে অনেক বেশি কর কেন্দ্রের! পেট্রল, ডিজেলের দাম কমাতে নারাজ মোদী সরকার
লাভ গুরু এর আগেও খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন ২০০৬ সালে। পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএন কলেজের হিন্দি বিভাগে পড়ানোর সময় তাঁর সংঙ্গে নাম জোরে জুলি কুমারী নাম এক ২৩ বছরের ছাত্রীর। সেই সময় মটুকনাথের বয়স ছিল ৫৩। এই সম্পর্কের খবর ছড়িয়ে পড়তেই কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয় তাঁকে। পরে আদালতের নির্দেশে ২০১১ সালে নিজের কলেজের চাকরি ফিরে পান তিনি। সেই সময় জুলির সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্কে থাকতে শুরু করেন অধ্যাপক মটুকনাথ চৌধুরী।
২০১৭ সালে ক্লাস চলাকালীন ছাত্রীদের সঙ্গে নাচানাচি করার একটি ভিডিও ও ছড়িয়ে পড়েছিল।সেই সময় তাঁকে সাসপেন্ড হতে হয়।
যদিও জুলি এখন তাঁকে ছেড়ে আধ্যাত্মিক চর্চায় মজেছে বলে জানা জানিয়েছেন অধ্যাপক। সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, ‘জুলি এখন ত্রিনিদাদের এক আশ্রমে আছে। আমাকে মাঝে মধ্যে ফোন করে। গতবছর আমাকে ডেকে ছিল সেখানে। কিন্তু ও আর দেশে ফিরতে চায় না। নিজের জীবন ও আধ্যাত্মিক চর্চায় নিয়োগ করেছে।’
আরও পড়ুন: বাংলায় ৮ দফায় ভোট, অসমে ৩ দফায়, বাকি সব রাজ্যে এক দফায়, ভোটগণনা ২ মে