দেশে কোভিড সংক্রমণে বেশ কিছুটা রাশ টানা গেলেও এখনও নির্মূল করা যায়নি এই ভাইরাসকে। এই প্রেক্ষাপটে দেশের বাজার, শপিং মল, সুপার মার্কেটগুলির জন্য ফের নতুন নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় সরকার৷ ডিসেম্বরের প্রথম দিন থেকেই জারি হচ্ছে এই নতুন বিধি।
মাস্ক এবং সামাজিক দূরত্ব মানা বাধ্যতামূলক সব জায়গায়। পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য সরকারের কোভিড বিধি মেনে খুলেছে সিনেমাহল, শপিং মলগুলিও। তবে সোমবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের জারি করা নির্দেশিকায় কনটেনমেন্ট জোনে বাজার পুরো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই জোনের বাইরে শপিং মল, সিনেমা হল, সুপার মার্কেট খোলা রাখা যাবে। যদিও কোভিডের কড়া বিধি সেখানে মানতে হবে।
আজ, অর্থাৎ পয়লা ডিসেম্বর থেকে করোনা সংক্রান্ত নয়া গাইডলাইনস চালু করল কেন্দ্রীয় সরকার। ৩১ ডিসেম্বর অবধি এই সকল নিয়ম বলবৎ থাকবে।
• স্থানীয় স্তরে নাইট কার্ফু জারি করতে পারে রাজ্যগুলি। কিন্তু কনটেনমেন্ট জোনের বাইরে লকডাউন ঘোষণা করতে গেলে লাগবে কেন্দ্রের অনুমতি।
আরও পড়ুন: Corona: বেড়ে গেল কড়কনাথ মুরগির চাহিদা, দাম হাজার ছুঁই ছুঁই
• যে সব রাজ্যে সাপ্তাহিক কেস পজিটিভিটি রেট দশ শতাংশের বেশি, সেখানে রাজ্যদের শিফট ব্যবস্থায় অফিস চালানোর পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। অর্থাৎ একসঙ্গে যাতে অনেক লোক অফিসে জড়ো না হন, তার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।
• স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের দায়িত্ব থাকবে এটা নজরে রাখার যে কনটেনমেন্ট জোনে সমস্ত বিধিনিষেধ মানা হচ্ছে।
•যারা কোভিড নিয়ম মানছেন না, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুমতি রাজ্যদের দিয়েছে কেন্দ্র। মূলত যারা সামাজিক দূরত্ব রাখছেন না বা মাস্ক পরছেন না, তাদের চড়া ফাইন করা হচ্ছে।
• যে কোনও রাজ্যের ভিতরে বা বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে মানুষ ও পণ্য চলাচলে কোনও বাধা নেই। এর জন্য কোনও আলাদা পাস লাগবে না।
• কনটেনমেন্ট জোনে স্বাস্থ্য দফতরের দলকে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে কোভিড রোগীদের চিহ্নিত করতে হবে।
• আপৎকালীন পরিস্থিতি ও অত্যাবশ্যক পণ্য কেনা ছাড়া অন্য কোনও কারণে মানুষ যাতে কনটেনমেন্ট জোন থেকে না বেরিয়ে যান সেটা নজরে রাখতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘জঙ্গি ধরতে ইডি-সিবিআইকে সীমান্তে পাঠানো হোক’, মোক্ষম খোঁচা শিব সেনার