নারী নির্যাতনের অভিযোগে এফআইআর বাধ্যতামূলক, সব রাজ্যকে নয়া নির্দেশিকা কেন্দ্রের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

শুধু হাথরাস নয়, গত কয়েক দিনে দেশে একের পর এক ধর্ষণ ও যৌন হেনস্থার ঘটনা সামনে এসেছে। নারীদের বিরুদ্ধে এই নির্যাতনের ঘটনা ঘটলে পুলিশ ও প্রশাসনকে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে, সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে নির্দেশিকা পাঠিয়ে এমনটাই জানাল কেন্দ্র।

হাথরাসের ঘটনায় মিডিয়ার পথ আটকানো হয়েছিল। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে মিডিয়াকে কথা বলতে সরাসরি বাধা দিয়েছিল পুলিশ। মেয়ে হারানো পরিবারকেই হুমকি দিয়েএসেছিলেন ডিএম স্বয়ং। মৃত দলিত মেয়েটির দেহ দাহ পর্যন্ত করতে পারেনি পরিবার। মাঝরাতে পুলিশ দেহ পুড়িয়ে দেয়। গোটা দেশের সামনে এমন ঘটনা ঘটল। যোগী সরকার বুঝিয়ে দিল তারা কাউকে পরোয়া করে না। বহু বিষয়ে মন কি বাত শোনানো মোদীজি এ বিষয়ে মৌনতা অবলম্বন করেন। দলিত মেয়েটির দেহ পুড়িয়ে দেবার পর গেরুয়াধারী ইউপির মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়নি।

আরও পড়ুন : ভোট বড় দায় ! ষষ্ঠীতে BJPর ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে বাঙালিকে শুভেচ্ছা জানাবেন মোদী

শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, নারীদের বিরুদ্ধে যৌনহেনস্থা ও ধর্ষণের ঘটনায় কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই সংক্রান্ত নির্দেশিকা রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে পাঠান হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে তার এফআইআর দায়ের করতে হবে পুলিশকে। ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে দু’মাসের মধ্যে ঘটনার তদন্ত শেষ করতে হবে। দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করতে জাতীয় ডেটাবেসও ব্যবহার করতে পারে পুলিশ।

এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মহিলাদের বিরুদ্ধে যৌনহেনস্থার কোনও ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে তার এফআইআর দায়ের করতে হবে পুলিশকে। প্রাথমিকভাবে যদি ঘটনাটি কোনও থানার এলাকার বাইরে হয়, তাহলেও সেখানে এফআইআর দায়ের করা সম্ভব।

যদি কোনও মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করা না হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ অভিযোগ দায়ের না করে তিনি তাঁর কর্তব্যে অবহেলা করেছেন। তাই একাধিক ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা যাবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কড়া শাস্তি পেতে হবে সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারিককে।

গত কয়েক দিন আগেই সামনে এসেছে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো (এনসিআরবি)-র রিপোর্ট। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, ধর্ষণ থেকে অপহরণ, অ্যাসিড হামলা থেকে গার্হস্থ্য হিংসা— মহিলাদের বিরুদ্ধে সব রকম অপরাধের গ্রাফই দেশে ঊর্ধ্বমুখী। রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, ২০১৯ জুড়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিদিন গড়ে ৮৭ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।

হাতরাসের ঘটনা আরও একবার বুঝিয়ে দিয়েছে এসব ফাঁকা বুলি। এখন এদেশে সরকার বলে কিছু হয় না। সরকার কেতাবি শব্দ। যা হয় তা হল শাসক দল। এই শাসক দল যদি পুলিশকে কাজ করতে দেয় তাহলে কাজ হবে, তা না হলে হবে না। কেবল ধোঁকা দেওয়া হবে। প্রয়োজনে বিরোধীদের টাইট দেওয়া হতে পারে। এর বেশি কিছু নয়। এমনটাই ধারণা দেশের একেবারে আম জনতার জনার্দনের।

আরও পড়ুন : এয়ারটেলের হাত ধরে ভারতের বাজারে ফিরতে চলেছে PUBG!

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest