Fake CBI Lawyer Sanatan Ray Chaudhuri claims he was part of BRICS Summit alongside Narendra Modi.

Sanatan Ray Chaudhuri: ব্রিকস সম্মেলনে মোদীর পাশে ‘কূটনীতিক’ সনাতন! হতবাক গোয়েন্দারা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

এক দেবাঞ্জনে রক্ষে নেই, সনাতন দোসর! তবে কাণ্ডকারখানা দেখে অনেকেরই মত, জালিয়াতিতে দেবাঞ্জন দেবকেও ছাপিয়ে যাচ্ছেন সনাতন রায়চৌধুরী। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু কলকাতা বা দিল্লি নয়, কূটনীতিক সেজে একাধিক দেশে পা রেখেছেন সনাতন। এমনকি ২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে আয়োজিত ব্রিকস সম্মেলনেও ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি, তা-ও আবার খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাশে! জেরায় সনাতন নিজেই তা কবুল করেছেন। আর তাতেই রীতিমতো ভিরমি খাওয়ার অবস্থা তদন্তকারীদের।

তার আগে ২০১৩ সালে টোকিয়োয় ইন্দো-জাপান ব্যবসায়িক সম্মেলনেও অংশ নিয়েছিলেন। বক্তৃতা করা-সহ ব্রিকস সম্মেলনে সনাতনের শামিল হওয়ার একাধিক ছবিও হাতে পেয়েছে পুলিশ।  সনাতন যা দাবি করছেন, তা যদি সত্যি হয়, তাহলে তো জল অনেক দূরই গড়াবে, আশঙ্কা তদন্তকারীদের। কারণ কীভাবে তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিনিধি হয়ে ব্রিকস সম্মেলনে গেলেন? কার কার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে? উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন। সনাতনের প্রভাবশালী যোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছেন গোয়েন্দারা। কিন্তু এখন খোঁজ চলছে নামের।

ইতিমধ্যেই তদন্তকারীদের হাতে এসেছে ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা। তাতে দেখা যাচ্ছে, দমদম কেন্দ্রে #0093DD পার্টির পাশে পাশে প্রার্থী হিসাবে নাম রয়েছে সনাতনের। তিনি ভোট পেয়েছিলেন ৫,২৮৫ টি। শতাংশের হিসাবে তা ০.৫৪।

আরও পড়ুন: BJP-র KMC Abhijan: অগ্নিমিত্রা, দিলীপরা আটক, মিছিলে অংশই নিলেন না শুভেন্দু

তদন্তকারীদের সনাতন জানিয়েছেন, ২০০৯ সালে লোকসভা ভোটে তিনি লড়েছিলেন। দমদম কেন্দ্র থেকে লোক জনশক্তি পার্টির টিকিটে লড়েছিলেন তিনি। এবার আরও এক চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন সনাতন রায় চৌধুরী। দেবাঞ্জন দেবের তদন্ত এখনও গুটিয়ে উঠতে পারেননি তদন্তকারীরা। তারই মধ্যে আবার সনাতন রায় চৌধুরী! তদন্তকারীদের দাবি, এর হাত আরও অনেক বেশি লম্বা!

সনাতন আদতে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী। কিন্তু বেশ কয়েকমাস যাবৎ তিনি দাবি করে আসছিলেন, রাজ্য সরকারের স্ট্যান্ডিং কাউন্সিলের সদস্য, সিবিআইয়ের আইনজীবী, মুখ্যমন্ত্রী দফতরের উপদেষ্টা হিসাবে। কিন্তু শেষের দাবিটি করতে গিয়েই ফাঁদে পড়েছিলেন সনাতন। তালতলা থানার ওসির কাছে গত ২৫ জুন সনাতন ফোন করে মুখ্যমন্ত্রী দফতরের উপদেষ্টা বলে পরিচয় দেন। তখনই সন্দেহ হয় পুলিশ কর্তার। তিনি একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেন।

এরপর গোটাটা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে ৩০ জুন। গড়িয়াহাট থানায় আরও একটি অভিযোগ দায়ের হয়। ভুয়ো পরিচয় ভাঙিয়ে গড়িয়াহাটের একটি ১০ কোটি টাকার সম্পত্তি আত্মসাৎ করার চেষ্টা করছিলেন সনাতন। মঙ্গলবার সিঁথি থেকে গ্রেফতার করা হয় সনাতনকে।

আরও পড়ুন: ‘তৃণমূলে তো এক পিসই হিরো আছে’, মদনকে দেখে বলেই ফেললেন উচ্ছ্বসিত দিলীপ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest