নয়াদিল্লি : এবার দিল্লির হাসপাতালে চিকিৎসা পাবেন শুধু দিল্লিবাসীরাই ৷পাঁচ চিকিৎসক কমিটির সুপারিশ মেনেই স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে বড় ঘোষণা কেজরিওয়াল সরকারের ৷ এবার দিল্লি শহরের সরকারি ও প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা পাবেন শুধু দিল্লিবাসীরাই ৷ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ৷ একইসঙ্গে ৮ জুন থেকে উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানার বর্ডার খুলে দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷
করোনা পরিস্থিতিতে ভিন্ রাজ্য থেকে মানুষ দিল্লিতে চিকিৎসা করাতে এলে, স্থানীয়রা সঠিক স্বাস্থ্য পরিষেবা পাবেন না, এই যুক্তি দেখিয়ে গত সপ্তাহে দিল্লির সীমানা বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেন কেজরীবাল।
আরও পড়ুন: সোনার খনির খবর এবার পড়শী রাজ্যে, অর্থনীতির মন্দ কাটানোর গপ্পো, নাকি সত্যি, জেনে নিন
আগামী কাল তা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁর সরকার। এ দিন কেজরীবাল বলেন, ‘‘দিল্লি সরকারের হাতে যে ১০ হাজার বেড রয়েছে, তা স্থানীয়দের জন্য সংরক্ষিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে যে সমস্ত বেড রয়েছে, সেগুলি সকলের জন্য।’’
দিল্লি সরকার গত সপ্তাহেই ডাঃ মহেশ ভার্মার নেতৃত্বে পাঁচ চিকিৎসকের কমিটি গঠন করে৷ দিল্লিতে স্থানীয় ব্যক্তি ছাড়া অন্য কারোর চিকিৎসা করা সম্ভবপর আর হবে ৷ শনিবারই করোনা পরিস্থিতিতে আপ সরকারের তৈরি পাঁচ চিকিৎসকের কমিটি সরকারকে পেশ করা রিপোর্টে এমনটাই জানায় ৷
চিকিৎসকদের পেশ করা রিপোর্টে বলা হয়, রাজধানীর এই মুহূর্তে যা স্বাস্থ্য পরিকাঠামো তা দিল্লিবাসীদেরই প্রাধান্য দিয়ে চিকিৎসা করা উচিত ৷ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের দাপটে হাসপাতালে বেড পাওয়া দায় ৷ তাই যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে রোগীদের জন্য দরকার আরও বেড ৷
করোনা পরিস্থিতিতে ভিন্ রাজ্য থেকে মানুষ দিল্লিতে চিকিৎসা করাতে এলে, স্থানীয়রা সঠিক স্বাস্থ্য পরিষেবা পাবেন না, এই যুক্তি দেখিয়ে গত সপ্তাহে দিল্লির সীমানা বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেন কেজরীবাল। আগামী কাল তা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁর সরকার। এ দিন কেজরীবাল বলেন, ‘‘দিল্লি সরকারের হাতে যে ১০ হাজার বেড রয়েছে, তা স্থানীয়দের জন্য সংরক্ষিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে যে সমস্ত বেড রয়েছে, সেগুলি সকলের জন্য।’’
এই মুহূর্তে রাজধানীতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৭ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। প্রতিদিন যে হারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে জুনের শেষ নাগাদ ১৫ হাজার বেডের প্রয়োজন পড়তে পারে দিল্লিতে। সেই কারণে দিল্লিবাসীর জন্য বেড সংরক্ষিত করে রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন পাঁচ চিকিৎসককে নিয়ে গঠিত দিল্লি সরকারের বিশেষ কমিটি। সেই নিয়ে গত কয়েকদিনে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে তাঁর সরকার। কিন্তু কেজরীবালের যুক্তি, ‘‘এই মুহূর্তে আমাদের হাতে ন’হাজার বেড রয়েছে। ভিন্ রাজ্যের রোগীদের ভর্তি নিলে, তিন দিনেই তা ভরে যাবে।’’
এত কিছুর পরেও দিল্লিতে বেড পাওয়া যাচ্ছে না বলে সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছিল। তবে তার জন্য ল্যাবরেটরিগুলিকেই দুষেছিলেন কেজরীবাল। উপসর্গহীন রোগীদের দেদার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হচ্ছে বলেই হাসপাতালগুলি ভর্তি হয়ে যাচ্ছে। হাসপাতালের বেড নিয়ে কালোবাজারি হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: মাত্র ২০ মিনিটেই ধরা পড়বে করোনা! সস্তার টেস্টিং কিট বানাল IIT হায়দরাবাদ